Home Blog Page 11

গ্রীন হিল সীর্ক প্রকল্পের আওতায় পরামর্শমূলক কর্মশালা

0


রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে গ্রীনহিল-গ্রামীন জনগগোষ্ঠীর সামাজিক,প্রাতিষ্ঠানিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন(সীর্ক) প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগী ও সেবা প্রদানকারীদের সম্মিলিত অংশ গ্রহনে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার চেয়াম্যান,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা,সহকারী মৎস্য কর্তা,উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা,ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সরকারী অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ।

আরো উপস্থিত ছিলেন হেড ম্যান,কারবারী,কৃষকসহ স্থানী আরো অনেকে।তাছাড়া “গ্রীন হীল” এর পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য টুকু তালুকদার সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালার মত বিনিময়ে উঠে আসে প্রকল্পের বর্তমান কার্যক্রম,সুবিধা-অসুবিধা সহ নানা নানা দিক।সরকারী দপ্তরের প্রতিনিধি গন তাদের সেবা গ্রহনের বিভিন্ন দিক উপস্থিত  সকলের মাঝে তুলে ধরেন।

সর্বশেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আলোচনা  এবং সমাপনী ভাষনের মাধ্যমে কর্মশালা সমাপ্ত হয়

ডাঃসুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অঃদাঃ০
রাঙ্গামাটি সদর,রাঙ্গামাটি

যে ১০টি বিষয় জানলে আপনার গর্ভবতী গাভীটি থাকবে নিরাপদ !

0

১।বাচ্চা প্রসবের সঠিক সময় জানাঃ

এটি হচ্ছে গর্ভবতী গাভীর নিরাপত্তার প্রথম ধাপ।গর্ভবতী গাভীর সুরক্ষার জন্য আপনাকে প্রথমেই জানতে হবে প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম উপায়ে প্রজনন (বীজ দেওয়া) করানোর পর করদিন পর বাচ্চা হবে যাকে আমরা গর্ভধারন কাল বলি।একটি গাভীকে বীজ দেওয়ার পর ২৭০ থেকে ২৯০ দিনের মধ্যে সাধারনত বাচ্চা দেয়।তাই বীজ দেওয়ার পরই আপনার জেনে নিতে হবে সম্ভাব্য কত দিন পরে প্রসব হবে।সেই হিসেবে আপনাকে প্রস্তুতি নিতে হবে।এই ক্ষেত্র আপনি কৃত্রিম প্রজনন কর্মীর কাজ থেকে লিখে নিতে পারেন সম্ভাব্য কত দিন পর গাভীটি বাচ্চা দিতে পারে।

২। আলাদা বাসস্থানঃ

গর্ভকালের ৭ মাস পর্যন্ত গাভীর দেখা শোনা, খাদ্য ,পরিচর্যা ,দুধ দোহন সবই স্বাভাবিক ভাবে চলতে থাকবে।কিন্তু ৭ মাসে পরার সাথে সাথে গাভিটি বিশেষ যত্ন প্রত্যাশা করে।কারন এই সময়ই থেকে গর্ভস্থ বাচ্চাটির বৃদ্ধি খুব দ্রূত হয়। এ বাড়তি পরিচর্যার প্রথম কাজ হিসেবে গাভীটিকে অন্যান্য গাভী থেকে আলাদা করতে হবে।এই সময় গাভির পূর্ন বিশ্রাম প্রয়োজন।আর দিতে হবে বাড়তি খাবার,বাড়তি পরিচর্যা।থাকার ঘরটি গাভীর উপযোগী হওয়া  বাঞ্চনীয়।

তাছাড়া এক সাথে থাকলে এই গাভীর উপর অন্য গরু লাফিয়ে উঠতে পারে।এর ফলে গর্ভের বাচ্চা নষ্টও হয়ে যাতে পারে।তাই সাবধান!

৩।স্বাস্থ্যকর পরিবেশঃ

যে  ঘরে আপনি গর্ভবতী গাভীকে রাখবেন সেটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া চাই।যতে কোন ধরনের জীবানু সংক্রমন না হয়।আর ঘরে অবশ্যই পর্যাপ্ত  আলো বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে।খেয়াল রাখতে হবে, যাতে গরু নড়া চড়া ও ওঠা-বসা করার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকে। কারন এসময় একটি ধাক্কা খেলেও গর্ভাপাত হয়ে যেতে পারে।গর্ভবতী গাভীর ঘর প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে।প্রয়োজনে হালকা জীবানু নাশক মিশিয়ে পানি দিয়ে ঘুয়ে দিতে হবে।এতে করে ঘরে রোগ জীবানুর পরিমান অনেক কমে যাবে।

গাভীর থাকার জায়গাতে খড় বিছিয়ে দিয়ে আরাম দায়ক বিছানা তৈরি করতে হবে।খড়ের সরবরাহ খুব কম হলে দৈনিক রোধে শুকিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।তবে বিছানার খড় নোংড়া হয়ে গেলে তা পরিষ্কার করে নতুন করে দিতে হবে।

৪। দুধ দোহন কমিয়ে বন্ধ করতে হবেঃ

গর্ভাবস্থার  ৭-৮ মাসে দুধ দোহন বন্ধ করতে হবে।তবে তা হঠাৎ করে নয়।দুধের প্রবাহ বন্ধ না হলে দানাদার খাদ্য কিছুটা কমিয়ে দিতে হবে, তবে গাভীর স্বাস্থ্য যাতে ভেঙ্গে না যায় সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে।

৫। গাভীকে শান্ত রাখতে হবেঃ

গর্ভাবস্থায় গাভীর জন্য শান্ত ঝামেলা মুক্ত পরিবেশ খুব প্রয়োজন।এই অবস্থায় গাভীকে কোন ভাবেই ভয় পাওয়ানো, দ্রুত তাড়ানো বা উত্তেজিত করা যাবে না।অস্থির হয়ে লম্প-ঝম্প করতে গিয়ে কম্প হয়ে গর্ভের বাচ্চাটির মহা সর্বনাশ হতে পারে।

৬। অতিরিক্ত সুষম খাদ্যঃ

দুধ উৎপাদঙ্কারী গর্ভবতী গাভীর দুধ উৎপাদনের শেষ ভাগে দেহের সঞ্চিত ভিটামিন, মিনারেল,চর্বি ও অন্যান পুষ্টিকর উপাদান সমূহ দুধের মাধ্যমে প্রায় নিঃশেষ হয়ে যায়।গর্ভাবস্থার শেষের দিকে গর্ভস্থ বাচ্চাটি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই এই সময়ই গাভীর স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ও গর্ভস্থ বাচ্চার স্বাভাবিক বাড়ন অক্ষুন্ন রাখার জন্য ২-৩ মাস অতিরিক্ত সুষম খাদ্য ও বিশেষ যত্নের প্রয়োজন।

গাভীর স্বাস্থ্যের অবস্থার উপর ভিত্তি করে এসময় কাঁচা ঘাসের সাথে ২-৩ কেজি দানাদার খাদ্য খাওয়ালে ভাল হয়।গর্ভাবস্থার শেষ দিকে গাভীর সুষ্টু যত্ন ওসুষম খাদ্যের অভাব হলে গাভী ও গাভীর বাচ্চা স্বাস্থ্যহানি ঘটে।অপর দিকে দুধ উৎপাদন কমেভ যায়।এমন কি গাভী মারাত্মক দুগ্ধ জ্বরে(Milk Fever) আক্রান্ত হতে পারে।

আর খেয়াল রাখতে হবে গাভীর জন্য যেন পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পানের ব্যবস্থা থাকে।শীতের সময় হলে কুসুম কুসুম গরম পানি খাওয়াতে পারলে খুব ভাল হয়।আর গরমের দিনে হলে প্রতিদিন গোসল করাতে হবে।এতে করে পেট ফাঁপা, ঠাণ্ডা লাগা,সর্দি -কাঁসি, নিয়মোনিয়া ইত্যাদি বিভিন্ন ঝামেলা থেকে গাভীটি এবং সাথে সাথে তার অনাগত বাচ্চাটি মুক্ত থাকবে।

৭। বাচ্চা প্রসবের পূর্ববর্তী সপ্তাহে গাভীকে “বাচ্চা প্রসব ঘরে” স্থানান্তরঃ

বাচ্চা প্রসবের ২-৩ দিন পূর্বে গাভীর ওলান ও যোনিমুখ স্ফিত হয়।এ সময় গাভীকে বাচ্চা প্রসবের ঘরে নিয়ে আসতে হবে।তা যদি সম্ভব না হয় তাহলে অন্তত পক্ষে এমন একটি ঘরে রাখতে হবে যে ঘর নিরাপদ ও সব সময় চোখে চোখে রাখা যায়।

৮।গাভীর যোণি মুখ বের হওয়া ঠেকানোঃ

এই সমস্যার কারনে  বিপদে পড়েছেন সেই রকম অনেকেই আছে।যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে আপনার আর বিড়ম্বনার শেষ নেই।আর এই ঘটনাটি ঘটে যখন বাচ্চা দেওয়ার সময় ঘনিয়ে আসে।এই সমস্যার মূল কারন হল গাভীর কোষ্ঠ্য কাঠিন্য অথবা হতে পারে তার মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু ভিটামিন-মিনারেলের অভাব রয়েছে।যদি তাও না হয় তাহলে বুঝতে হবে গাভীটি খুবই দুর্বল।

এই ঘটনা না হওয়ার জন্য আগে থেকেই আপনাকে প্রস্তুত হতে হবে ।সেটা কি? সেটা হল, বাচ্চা প্রসবের ২-৩ সপ্তাহ আগে থেকে গরুকে সহজে হজম হয় এবং শরীর ঠাণ্ডা থাকে এরকম খাবার দিতে হবে।আর  খাবার যদি রসালো এবং আশঁ যুক্ত হয় তাহলে আরো ভাল হয়।

৯। ওলান ফোলা প্রতিরোধঃ

এই রোগটা অনেক সময় আপনার কষ্টের কারন হতে পারে।সাধারনত বাচ্চা দেওয়ার সময় যখন সন্নিকটে হয় তখন এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।যদি এ সমস্যা থেকে গরু মুক্ত রাখতে চান তাহলে গরুকে প্রতি দিন ব্যায়াম করানোর অভ্যাস করুন।সেটা হতে পারে প্রতি দিন আধা ঘন্টা থেকে এক ঘণ্টা।তবে তার জন্য জিমে (Gym) নেওয়ার দরকার নাই।খামারের মধ্যে অথবা খামার থেকে বাইরে নিয়ে একটু হাঁটালেই হবে।দেখবেন, খুব ভালো  ফল দিচ্ছে।

১০। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পুরনঃ

গর্ভকালের শেষের দিকে বাচ্চার বৃদ্ধি যখন খুব দ্রুত হতে থাকে তখন আপনাকে খাদ্য তালিকায় অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম যুক্ত করতে হবে।কিন্তু কতটুকু ? তা নির্ভর করবে গাভীর শারীরিক অবস্থার উপর।তবে কোন অবস্থাতেই গাভীকে ক্যালসিয়াম ঘাটতিতে ফেলা যাবে না। কারন এই সময় ক্যালসিয়া্মের অভাবে বাচ্চার বৃদ্ধি মারাত্মভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।তাছাড়া সবচেয়ে বড় সমস্যা হবে প্রসবের সময়।প্রসবকালীন সমস্যা,প্রসবের পর ফুল না পড়া,প্রসবের পর গাভী শুয়ে পড়া সহ নানাবিধ সমস্যা আপনাকে অস্থিত করে তুলবে।তাই বলি,শুধু শুধু কি দরকার হাতে টেনে ঝামেলায় পড়ার!

 

রোড এক্সিডেন্টে আক্রান্ত মুমূর্ষ সন্তান সম্ভবা ছাগীটির নব জীবন লাভ

0


গর্ভে তার তিন মাসের সন্তান। অল্প কিছু দিনের মধ্যে তারা পৃথিবীর আলো-বাতাসে বুক ভবে শ্বাস নিয়ে তিড়িং বিড়িং করে ঘুরে বেড়াবে।এই আনন্দের ছবি চিন্তা করতে করতে ক্লান্ত শরীরে রাস্তার ধার দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল ছাগীটি।কিছুটা কষ্টও হচ্ছিল তার।তবুও সে মনের আনন্দে হেঁটে যাচ্ছিল । কিন্তু তার বিধি-বাম হঠাৎ করে রাস্তার বকাটে হিংস্র কুকুরটি তাকে তাড়া করে।

ছাগীটি টের পাওয়া মাত্র রুদ্ধ শ্বাসে জীবন বাঁচানোর তাগিদে দিগ-বিদিগ জ্ঞান শুন্য হয়ে দৌঁড়তে থাকে।দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে  কুকুর থেকে কোন রকমে রক্ষা পেলেও ধাক্কা লেগে যাই চলন্ত একটি অটো বাইকে (চিএনজি) এর সাথে।পায়ে অনেকটূকু অংশ ছিঁড়ে যায়।তাছাড়া আরো শরীরের আরো বিভিন্ন জায়গা ক্ষত-বিক্ষত হয়।ঝড় ঝড় করে রক্ত পড়তে থাকে।সে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য।হতভম্ব চালক অত্যন্ত সহৃদয়তার সাথে প্রাণিটিকে কোলে তুলে নিয়ে আরো কয়েকজন সহ রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালে নিয়ে আসে।

আনার সাথে সাথে ভেটেরিনারি সার্জন, কম্পাউন্ডার,ড্রেসার ,অফিস সহায়ক সহ পুরো “ভেটেরিনারি টিম” মুমূর্ষ গর্ভবতী ছাগীটির জীবন রক্ষার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে।সাথে সহযোগিতা করেছেন রোগীর সাথে আসা লোকজন।

প্রায় এক ঘন্টা ধরে চলে অপারেশন কার্যক্রম (ভিডিও) প্রথমে ক্ষত স্থানগুলো ভালো করে ড্রেসিং করা হয়।পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গেল পায়ের অথবা শরীরের অন্য কোন স্থানে কোন হাড় ভাঙ্গানি।এই বিষয়টি পুরো টিমকেই একটু স্বস্তি দিল।এরপর প্রানিটির পা অবশ (Local Anaesthesia) করে ক্ষত স্থান সেলাই করা সহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।

এর মাঝেই একবার আক্রান্ত প্রাণীর শরীরে প্রচণ্ড কাঁপুনি সহ খিঁচুনি শুরু হয়ে যায়।সম্ভবত মাথাই আঘাত পাওয়ার কারনে এ ঘটনা ঘটেছে।অনেক কষ্টে বিভিন্ন ডাক্তারী বিদ্যা প্রয়োগ করে এই অবস্থাটাও কাটিয়ে ওটা সম্ভব হল।প্রায় এক ঘন্টা পর ছাগীটিকে অপারেশন টেবিল থেকে নীচে  নামানো হল।আনন্দের বিষয় হল সে নামা মাত্রই হাঁটা শুরু করল । দেখে মনটা ভরে গেল।নিশ্চিন্ত হওয়া গেল এ যাত্রাই সে বেঁচে গেল, সাথে সাথে বেঁচে গেল তার অনাগত বাচ্চাগুলোও।

পরবর্তীতে ধনুষ্ঠংকার রোধী টীকা প্রয়োগ সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে মালিকসহ ছাগীটি কে বিদায় দেওয়া হল।সম্পূর্ন বিনামূল্যে এমন সেবা পেয়ে সবাই খুশি।আমরাও খুশি,আমাদের হাত দিয়ে সৃষ্টিকর্তা বাচ্চাসহ এই প্রাণিটিকে রক্ষা করেছেন বলে।

সবাই সৃষ্টি কর্তার কাছে প্রার্থনা করবেন যেন তার নিরাপদ প্রশব নিশ্চিন্তে হয়।

হয়।অপারেশনের ভিডিওটি এই লিংকে ক্লিক করলে দেখতে পারবেন আগ্রহীরা দেখে নিতে পারেন

ডাঃসুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অঃদাঃ)
রাঙ্গামাটি সদর

অস্ত্র বিহীন ভিডিপি সদস্যদের প্রশিক্ষন

5


রাঙ্গামাটি পৌরসভার পুরান পাড়া এলাকায় ৩২ জন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর গ্রাম ভিত্তিক অস্ত্র বিহীন ভিডিপি সদস্যদের লাভজনক ভাবে খামার স্থাপনের উপর প্রশিক্ষন দেওয়া হয়।প্রশিক্ষন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অঃদাঃ) ডাঃসুচয়ন চৌধুরী।প্রশিক্ষন গ্রহনকারী তরুন-তরুনীদের মধ্যে খামার করে স্বাবলম্বী হওয়ার ব্যাপারে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়।
প্রশিক্ষন শেষে উপস্থিত একজন প্রশিক্ষনার্থী ব্রয়লার খামার,দুইজন দেশি মুরগী পালন,একজন সোনালী মুরগী পালন এবং বেশ কয়েকজন হাঁস-মুরগী পালনের ব্যপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন।এই আগ্রহ সত্যি আশাব্যঞ্জক স্বনির্ভর জাতি গঠনে।

ডাঃসুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা(অঃদাঃ)
রাঙ্গামাটি সদর

আনন্দ শোভা যাত্রা

0


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের “৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ” ইউনেস্কোর “মেমোরী অব দা ওয়ার্ড ইন্টারন্যাশানাল রিজিস্টারে” অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে “বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য”হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করায় আনন্দ শোভা যাত্রায় অন্যান্য সরকারী দপ্তরের সাথে রাঙ্গামাটি প্রাণিসম্পদ বিভাগ অংশ করেন।উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃমনোরঞ্জন ধর;রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অঃদাঃ) ডাঃসুচয়ন চৌধুরী;সরকারী হাঁস প্রজনন খামারের ব্যবস্থাপক কুসুম চাকমা;সরকারী হাঁস-মুরগী খামারের ব্যবস্থা জয়নাল আবেদীন সহ রাঙ্গমাটি জেলা ও  সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তরের অন্যান্য সহ-কর্মী বৃন্দ।

বেলুন উত্তোলনের মাধ্যমে আনন্দ শোভা যাত্রা উদ্বোধন করেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী  দীপংকর তালুকদার।রাঙ্গামাটী সদর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন বঙবন্ধুর মুরালের সম্মুখ থেকে থেকে শুরু হওয়া র‍্যালীটি জেলা শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গনে সমাপ্ত হওয়ার পর এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।

ডাঃসুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা(অঃদাঃ)
রাঙ্গামাটি  সদর

 

রাঙ্গামাটি প্রাণিসম্পদ বিভাগে নিয়োগ

0


রাঙ্গামাটি বাসীর জন্য সুখবর,

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্থান্তরিত জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর বিভিন্ন শুণ্য পদে লোক নিয়োগ করা হবে।তবে এই পদে আবেদনের প্রথম শর্ত হল বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে ।তাছাড়া আবেদনের আরো বেশ কিছু যোগ্যতা প্রয়োজন হবে।

আবেদনের যোগ্যতাঃ

আবেদন করতে হলে আরো বেশ কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হবে।আসুন এবার জনে নেওয়া যাক কোন পদের জন্য কি যোগ্যতা দরকার?

  • ভেটেরিনারি ফিল্ড এসিস্ট্যন্ট (ভি,এফ,এ)ঃ

    শূন্য পদের সংখ্যা   : ১ (এক) টি
    বেতন স্কেল   : ১০,২০০-২৪,৬৮০/-
    বয়স   : ১৮-৪০ বছর
    (মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে ১৮-৪২ বছর)
    শিক্ষাগত যোগ্যতা   : অনুমোদিত যে কোন শিক্ষা বোর্ড হতে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পাশ হতে হবে।

 

  • এফএ/এআইঃ

শূন্য পদের সংখ্যা   : ১ (এক) টি
বেতন স্কেল   : ১০,২০০-২৪,৬৮০/-
বয়স   : ১৮-৪০ বছর
(মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে ১৮-৪২ বছর)
শিক্ষাগত যোগ্যতা   : অনুমোদিত যে কোন শিক্ষা বোর্ড হতে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পাশ হতে হবে।
  • কম্পাউন্ডারঃ

    শূন্য পদের সংখ্যা   : ১ (এক) টি
    বেতন স্কেল   : ১০,২০০-২৪,৬৮০/-
    বয়স   : ১৮-৪০ বছর
    (মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে ১৮-৪২ বছর)
    শিক্ষাগত যোগ্যতা   : অনুমোদিত যে কোন শিক্ষা বোর্ড হতে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পাশ হতে হবে।

     

  • পরিচ্ছন্নতা কর্মীঃ

    শূন্য পদের সংখ্যা   : ১ (এক) টি
    বেতন স্কেল   : ৮,২৫০-২০,০১০/-
    বয়স   : ১৮-৪০ বছর
    (মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে ১৮-৪২ বছর)
    শিক্ষাগত যোগ্যতা   : অষ্টম শ্রেণি পাশ

বিঃদ্রঃ ভি,এফ,এ/এফএআই/কম্পাউন্ডার পদে প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত প্রার্থীগনকে ভেটেরিনারি ট্রেনিং  ইনিষ্টিটিউট/লাইভষ্টক ট্রেইনিং ইনিষ্টিটিউট হতে সংশ্লিষত বিষয়ে এক বছর প্রশিক্ষন গ্রহন করতে হবে।প্রশিক্ষনে উত্তীর্ন প্রার্থীদেরকে চূড়ান্ত ভাবে নিয়োগ প্রদান করা হবে।

আবেদনের নিয়মঃ
১।আবেদনটি দাখিল করতে হবে চেয়াম্যান,রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ,রাঙ্গামাটি বরাবরে।
২। নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রচলিত সরকারী বিধি-বিধান প্রতিপালিত হবে।
৩। আবেদন পত্রটি অবশ্যই নিরধারিত ফরমে প্রার্থীর স্বাক্ষরতি হতে হবে।
৪।সরকারী/স্বায়িত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রার্থীগন স্ব স্ব নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন পত্র দাখিল করতে হবে।
৫।আবেদনের সাথে চেয়ারম্যান,রাঙ্গামাট জেলার পরিষদ,রাঙ্গামাটি অনুকূলে ৩০০/- (তিন শত)টাকার  ব্যাংক ড্রাফট/ পে অর্ডার পরীক্ষার ফি বাবদ (অফেরত যোগ্য) জমা দিতে হবে ।পোষ্টাল অর্ডার গ্রহন যোগ্য নয়।

গুরুত্ব পূর্ন বিষয়ঃ

  • আবেদনের শেষ সময় তারিখঃ ০৭/১২/১৭ খ্রিঃ
  • ব্যাংক ড্রাফট/পে অর্ডারঃ ৩০০/-
  • এইচ,এস,সি/সমমানঃ            বিজ্ঞান বিভাগ
  • প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত প্রার্থীগনের এক বছরের জন্য প্রশিক্ষনে উত্তীর্ন হওয় সাপেক্ষে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হবে।
  • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পিডিএফ ফাইল (file_1510120163)
  • আবেদন পত্রের পিডিএফ ফাইল(file_1510120320)

দৃষ্টি আকর্ষনঃ
যদি আপনি আবেদন করতে চান অথবা বিস্তারিত জানতে চান,তাহলে অবশ্যই মূল বিজ্ঞপ্তিটি দেখে নিবেন।আমার এ লেখার উপর নির্ভর করে আবেদন করবেন না।রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের নিজস্ব ওয়েব সাইট থেকে এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করে হয়েছে।আপনি চাইলে () এই লিংকে গিয়ে মুল বিজ্ঞপ্তিটি এবং আবেদন পত্রের ফরমেট সংগ্রহ করতে পারেন।আর এই লেখাটি শুধু মাত্র আপনার অবগতির জন্য।

error: Content is protected !!