Home Blog Page 4

গবাদি পশুকে কি কি খাদ্য খাওয়ানো প্রয়োজন?

0


সুপ্রিয় খামারি বৃন্দ আজকে আমরা পশুখাদ্য নিয়ে আলোচনা করব। পশু খাদ্যের মূলত দুইটা ভাগ। একটা হল খাদ্যের আঁশ জাতীয় অংশ এবং অন্যটি হলো দানাদার জাতীয় খাদ্য।আঁশ জাতীয় খাদ্যের আবার দুটো ভাগ একটি হল শুষ্ক এবং অন্যটি হলো রসালো। আর এই জাতীয় খাদ্যের মধ্যে থাকে বিভিন্ন প্রকার খড় ঘাস লতাপাতা ইত্যাদি।

আঁশ জাতীয় খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা:

বিপাকীয় কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পাদনের জন্য আঁশ জাতীয় খাদ্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া দেহের তাপ সৃষ্টিতেও আঁশ জাতীয় খাদ্যের ভূমিকা রয়েছে। পশুর বিশাল উদরপূর্তির জন্য আঁশ জাতীয় খাদ্যের কোন বিকল্প নাই। তাছাড়া পশুর কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা এবং হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করা জন্যও আঁশ জাতীয় খাদ্য প্রয়োজন।

আঁশ জাতীয় খাদ্যের প্রকারভেদ

আঁশ জাতীয় খাদ্য দুই প্রকার একটা হল শুষ্ক আঁশ জাতীয় খাদ্য এবং অন্যটি হলো রসালো আঁশ জাতীয় খাদ্য।শুষ্ক আঁশ জাতীয় খাদ্য সাধারণত ১০ থেকে ১৫ ভাগ পানি বা জলীয় অংশ থাকে যেমন বিভিন্ন প্রকার খড় এ জাতীয় খাদ্যের অন্তর্ভুক্ত।

অন্যদিকে রসালো আঁশ জাতীয় খাদ্যে শতকরা ৬০ থেকে ৯০ ভাগ পানি বা জলীয় অংশ থাকে। এই রসালো আঁশ জাতীয় খাদ্যের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কাঁচা ঘাস, গুটি জাতীয় ঘাস যেমন মাসকলাই, খেসারী ইত্যাদি। লতা গুল্ম এবং বিভিন্ন ধরনের গাছের পাতার রসালো খাদ্যের মধ্যে পড়ে।

দানাদার খাদ্য

পশু খাদ্যের গুরুত্বপূর্ন একটা অংশ হলো দানাদার খাদ্য। বিভিন্ন ধরনের শস্য দানা এবং শস্যদানার উপজাত দানাদার খাদ্যের মধ্যে পড়ে। তাছাড়া রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ডাল জাতীয় শস্য দানা এবং শস্যদানার উপজাত যেমন ডালের ভুসি, গমের ভুসি, খৈল, চালের কুড়া ইত্যাদি।

দানাদার খাদ্য কেন?

খাওয়াবেন পশুর শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি সরবরাহ এর জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন দানাদার খাদ্য। তাছাড়া পশুর শরীরে তাপ তৈরি করা,রোগ প্রতিরোধ করা, হাড় গঠন করা, ক্ষয় পূরণ করা, বীর্য তৈরি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য দানাদার খাদ্য একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান।

পুষ্টির উৎস অনুসারে খাদ্য উপকরণ কি কি?

পুষ্টির উৎস অনুযায়ী দানাদার খাদ্য উপকরণ সমূহ বিভিন্ন ভাবে ভাগ করা যায় কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায় সেগুলো নিচে উল্লেখ করলাম।

#আমিষ শ্রেণীভুক্ত খাদ্য উপকরণ
#শর্করা শ্রেণীভূক্ত খাদ্য উপকরণ
#চর্বি জাতীয় খাদ্য উপকরণ
#খনিজ জাতীয় খাদ্য উপকরণ
#ভিটামিন সমৃদ্ধ খাদ্য উপকরণ

আমিষ জাতীয় খাদ্য উপকরণ কি কি?

বিভিন্ন প্রকার তৈল বীজের খৈল, বিভিন্ন প্রকার ডাল ও ডালের ভুসি, শুটকি মাছের গুড়া ইত্যাদি।

জাতীয় খাদ্য উপকরণ

চালের কুড়া ভাঙ্গা, গম ভাঙ্গা, ভুট্টা ভাঙ্গা, কাসাবা, আলু, চিটা গুড় ইত্যাদি।

চর্বি জাতীয় খাদ্য উপকরণ

তিলের খৈল, বাদাম খোসা,খৈল, সয়াবিন ও অন্যান্য বীজের খৈল, তৈল বীজের খৈল ইত্যাদি।

খনিজ জাতীয় দানাদার খাদ্য উপাদান

লবণ, হাড়ের গুড়া ইত্যাদি ভিটামিন সমৃদ্ধ খাদ্য উপকরণ। কাঁচা ঘাস, লতা পাতা, গুল্ম, শাকসবজি, কৃত্রিমভাবে তৈরি বিভিন্ন ভিটামিন ইত্যাদি।

জার্মান ঘাস চাষ করবেন কিভাবে?

0
জার্মান ঘাস চাষ করবেন কিভাবে?


জার্মান একটি লতা জাতীয় স্থায়ী ঘাস।ইহা উঁচু,নিচু,ঢালু,জলাবদ্ধ,স্যাঁতস্যাতে এবং অন্য কোন ফসল বা শস্য হয় না ঐ সমস্ত জমিতে চাষ করা যায়।এ ঘাস গোবর সার ও গো-শালা বিধৌত পানিতে খুব ভাল জন্মে এবং কোন সারের দরকার হয় না।একবার লাগালে ৪-৫ বছর ঘাস পাওয়া যায়।

জমি নির্বাচনঃ

জার্মান ঘাস পারা ঘসের মত নিচু ও জলাবদ্ধ জমিতে চাষ করা যায়।জার্মান ঘাস দাঁড়ানো পানিতেও জন্মানো যায়।যে সমস্ত জমিতে সারা বছর পানি থাকে অথবা কিছুকাল পানিতে ডুবে থাকে,সেসব জমিতে এ ঘাস চাষ করা যায়।

রোপনের সময়ঃ

সাধারনত মার্চ হতে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এ ঘাস চাষের উপযুক্ত সময়।

বংশ বিস্তারঃ

এ ঘাসে হতে সক্ষম ভাল বীজ উৎপাদন হয় না।কাজেই কাটিং বা মোথা দ্বারা বংশ বিস্তার করতে হয়।

চারা তৈরীঃ

গাছ পরিপক্ক হলে কান্ডের গিট হতে শীকড় বের হয়।এরকম পরিপক্ক গাছের কমপক্ষে ৩ টি গীট নিয়ে কাটিং করতে হয়।

চাষ পদ্ধতিঃ

প্রচলিত পদ্ধতি উত্তম রুপে জমি চাষ দিতে হবে।তবে বন্যা পরবর্তীতে কাদামাটিতে চাষ না দিয়েই রোপন করা যায়।প্রতি হেক্টরে ২৮ -৩০ হাজার কাটিং প্রয়োজন।প্রতিটি লাইনের দূরত্ব ৫০ সেঃমিঃ রাখতে হয় এবং প্রতিটি কাটিং এর মধ্যবর্তী দূরত্ব ২৫ সেঃমিঃ হলেই চলে।

রোপন পদ্ধতিঃ

সমতল শুকনা জমিতে লাগালে প্রথমে কয়েকটা চাষ দিয়ে জমি আগাছা মুক্ত করে নিতে হবে।এরপর নির্দিষ্ট দূরত্বে কদাল দিয়ে গর্ত করে চারা বা কাটিং রোপন করতে হবে।কাটিংগুলো কাত করে অর্থাৎ ৪৫ – ৬০ ˙ কোণে এমনভাবে লাগাতে হবে যেন কাটিং এর গিট মাটির নিচে একটি গিট মাটির সামনে এবং অপর গিট  মাটির উপরে থাকে।

সার প্রয়োগঃ

গোবর সার ও গো-শালা বিধৌত পানিতে চাষ করলে কোন পানির প্রয়োজন হয় না।সাধারন নীচু জমি প্রস্তুতকালীন হেক্টর প্রতি ইউরিয়া ৫০ কেজি,টিএসপি ৭০ কেজি ও এমপি ৩০ কেজি করে দিতে হবে।ঘাস লাগানোর ১ মাস পর হেক্টর প্রতি ৫০ কেজি ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হবে।প্রতি কাটিং এর পর হেক্টর প্রতি ৫০ কেজি ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে।

সেচঃ

খরা মৌসুমে পরতি ১৫ – ২০ দিন পর পর সেচ দিতে হবে।

ঘাস কাটার সময়ঃ

গ্রীষ্মকালে ৩০-৩৫ দিন পর পর এবং শীতকালে ৩৫-৪৫ দিন পর ঘাস কাটা যায়।তবে এটা সেচ প্রয়োগের উপর নির্ভর করে।সেই হিসেবে ১ম বছর ৬- ৭ বার এবং পরবর্তী বছরগুলোতে ৮ -১০ বার পর্যন্ত প্রতি বছর কাটিং সংগ্রহ করা যায়।

ঘাস উৎপাদনঃ

উর্বর জমিতে ও ভাল ব্যবস্থাপ্পনায় প্রতি হেক্টরে উৎপাদন প্রায় ১৩০ – ১৫০ টন।

ঘাসের পুষ্টিমানঃ

প্রতি কেজি ঘাসে শুষ্ক পদার্থ ২৫০ গ্রাম,জৈব পদার্থ ২৪০ গ্রাম,প্রোটিন ১৮ গ্রাম ও বিপাকীয় শক্তি ২৫ মেগাজুল।

বড় মোরগ-মুরগীর রানীক্ষেত রোগের টিকা কিভাবে দিবেন?

0

মুরগির রানীক্ষেত রোগ কি?

মোরগ-মুরগীর রানীক্ষেত রোগ একটি মারাত্মক ভাইরাস ঘটিত রোগ।এ রোগের জীবানু আক্রান্ত বাচ্চা মোরগ-মুরগীর শ্বাসতন্ত্র,পরিপাকতন্ত্র এবং স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত করে বৈশিষ্ট্যপূর্ন লক্ষন প্রকাশ করে।পরিপাকতন্ত্র আক্রান্তের ফলে মোরগ-মুরগী সাদা চুনের ন্যায় পায়খানা অথবা সবুজ বর্নের পাতলা মল ত্যাগ করে।

মোরগ-মুরগীকে কি কি টিকা,কিভাবে প্রয়োগ করতে হবে?

প্রস্তুত প্রনালীঃ(বিশেষজ্ঞদের জন্য)

এই টিকার মাষ্টার সীড তৈরি করে এফ,এ,ও মুক্তেসর এম স্ট্রেইন দিয়ে।পরবর্তীতে মহাখালীস্থ প্রাণিসপদ গবেষনা প্রতিষ্ঠান এই ষ্ট্রেইন থেকে বড় মুরগীর রানীক্ষেত টিকা(RDV) তৈরি করে থাকে।এফ,এ,ও থেকে প্রাপ্ত মাস্টার সীড থেকে ওয়ার্কিং সীড তৈরি করা হয়।যাহা দ্বারা ভাইরাস ফ্লুইড তৈরি করা হয়।এই ভাইরাস ফ্লুইড ছেঁকে এর সংগে চর্বিবিহীন গুড়ো দুধ এর ষ্টক সলিউশোন তৈরি করে তা হিমশুষ্ক করে টিকা তৈরি করা হয়।

সংরক্ষনঃ

এই টিকার গুনগত মান – ২০ ˙ সেঃ তাপমাত্রায় ১ বছরের অধিককাল পর্যন্ত সম্পূর্ন অক্ষুন্ন থাকে।তাছাড়া -৫˙ সেঃ তাপমাত্রায় ৬ মাস এবং ৪ ˙সেঃ থেকে ৮ ˙সেঃ তাপমাত্রায় ৪ মাস পর্যন্ত গুনগত্মান অক্ষুন্ন থাকে।বরফসহ থার্মোফ্লাক্সে ১৫ দিন পর্যন্ত সংরক্ষন করা যায়।

মিশ্রনের নিয়মঃ

১) প্রতি ভায়ালে ০.৩ মিলি মূল টিকা হিমশুষ্ক অবস্থায় থাকে।প্রতি ভায়ালে ১০০ মাত্রা টিকা থাকে।

২) টিকা প্রয়োগের জন্য জীবানুমুক্ত ও পরিষ্কার ঢাকনা যুক্ত পাত্র,সিরিঞ্জ নিডল ও পরিশ্রুত পানি প্রয়োজন।প্রথমে পরিষ্কার পাত্রে ১০০ মিলি পরিশ্রুত পানি মেপে নিতে হবে।তারপর সিরিঞ্জের সাহায্য ১০০ মিলি থেকে ২ মিলি মেপে নিয়ে ভায়ালে ডুকিয়ে দিতে হবে।ভায়েলটি আস্তে আস্তে ঝাঁকিয়ে টিকাটি ভালঅভাবে মিশ্রিত করতে হবে।তারপর উক্ত মিশ্রনটি পাত্রের অবশিষ্ট পরিশ্রুত পানির সাথে মিশ্রিত করতে হবে।মিশ্রিনটি যাতে ভালভাবে হয় সে জন্য পাত্রের মুখে ঢাকলা লাগিয়ে ভাল ভাবে ঝাকিয়ে নিতে হবে।

ডোজঃ

এই মিশ্রন থেকে ১ মিলি করে সিরিঞ্জ নিয়ে পাখির মায়ের মাংসে ধীরে ধীরে প্রয়োগ করতে হবে।

বয়সঃ

২ মাস বা ততোধিক বয়স্ক মোরগ-মুরগিকে এই টিকা দেওয়া যাবে।

কতদিন পর কার্যকর হয়?

সাধারনত টিকা প্রয়োগের ১ সপ্তাহের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মে।

কতদিন পর পর দিবেন?

এই টিকা প্রয়োগের পর ৬ মাস পর্যন্ত প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় থাকে।তাই প্রতি ৬ মাস অন্তর অন্তর এই টিকা প্রয়োগ করতে হবে।

সরবরাহঃ

প্রতি  ভায়ালে ১০০ মাত্রা টিকা থাকে।

মূল্যঃ

প্রতি ভায়াল ১৫.০০ টাকা।

 

 

 

ছাগলের বসন্ত রোগের টিকা কিভাবে দিবেন?

0

ছাগলের বসন্ত রোগ কি?

ছাগলের বসন্ত রোগ একটি মারাত্ম ভাইরাস ঘটিত রোগ।আক্রান্ত ছাগলের দেহের লোমবিহীন ত্বকে বিশেষ করে লেজের নীচে এবং ওলানের আশে পাশে গুটি দেখা যায়।

[ছাগল কে কোন কোন টিকা দিবেন?]
[ছাগলের খামার ব্যবস্থাপনা]

প্রস্তুত প্রনালীঃ

বি,এল,আর,আই থেকে প্রস্তুত মাষ্টার সীড থেকে মহাখালীস্থ প্রাণিসম্পদ গবেষনা প্রতিষ্ঠান এই টিকা তৈরী করে।এটি একটি লাইভ এটিনিউয়েটেড সেল কালচার টিকা।

সংরক্ষনঃ

সাধারনত -২০˙সেঃ বা এর কম তাপমাত্রায় ২ বৎসর পর্যন্ত এই টিকার গুনগত মান অক্ষুন্ন থাকে এবং ২˙ সেঃ হতে ৮˙ সেঃ তাপমাত্রায় ৬ মাস এই টিকা সংরক্ষন করা যায়।

প্রয়োগ প্রনালীঃ

প্রতি ভায়াল টিকা ১০০ মিলি ডাইল্যুয়েন্টের সাথে মিশ্রিত করে প্রতি পশূকে ১ মিলি করে চামড়ার নীচে প্রয়োগ করতে হয়।

সরবরাহঃ

প্রতি ভায়ালে ১০০ মাত্রা টিকা থাকে এবং সাথে ১০০ মিলি ডাইল্যুয়েন্ট সরবরাহ করা হয়।

মূল্যঃ

প্রতি ভায়াল ৫০.০০ টাকা

বাচ্চা মুরগির রাণীক্ষেত টিকা(BCRDV) কীভাবে দিবেন?

0

রানীক্ষেত রোগ কি?

মোরগ-মুরগীর রানীক্ষেত রোগ একটি মারাত্মক ভাইরাস ঘটিত রোগ।এ রোগের জীবানু আক্রান্ত বাচ্চা মোরগ-মুরগীর শ্বাসতন্ত্র,পরিপাকতন্ত্র এবং স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত করে বৈশিষ্ট্যপূর্ন লক্ষন প্রকাশ করে।পরিপাকতন্ত্র আক্রান্তের ফলে মোরগ-মুরগী সাদা চুনের ন্যায় পায়খানা অথবা সবুজ বর্নের পাতলা মল ত্যাগ করে।

প্রস্তুত প্রনালীঃ

লেন্টোজেনিক এফ(F) স্ট্রেইন থেকে মাষ্টার সীড তৈরি করে এফ,এ,ও (FAO)।মহাখালীস্থ প্রাণিসম্পদ গবেষনা প্রতিষ্ঠান এই মাস্টার সীড থেকে রানীক্ষেত টিকা তৈরি করে।এই স্ট্রেইনটি অত্যন্ত মৃদু প্রকৃতির ও এটি একটি জীবন্ত টিকা।এফ,এ,ও থেকে প্রাপ্ত মাস্টার সীড থেকে ওয়ার্কিং সীড তৈরি করা হয়।যাহা দ্বারা ভাইরাস ফ্লুইড তৈরি করা হয়।এই ভাইরাস ফ্লুইড ছেঁকে এর সংগে চর্বিবিহীন গুড়ো দুধ এর ষ্টক সলিউশোন তৈরি করে তা হিমশুষ্ক করে টিকা তৈরি করা হয়।এই টিকার রং সবুজ এবং ৩ মিলি ভায়ালে সরবরাহ করা হয়।

সংরক্ষনঃ

এই টিকার গুনগত মান -২০ ° সেঃ তাপমাত্রায় ১ বছরের অধিককাল পর্যন্ত সম্পূর্ন অক্ষুন্ন থাকে।তাছাড়া -৫° সেঃ থেকে ০° সেঃ তাপমাত্রায় ৬ মাস পর্যন্ত এবং ৪ ˙ সে থেকে ৮ ˙ সেঃ তাপমাত্রায় ৪ মাস পর্যন্ত গুনগতমান অক্ষুন্ন থাকে।বরফসহ থার্মোফ্লাক্সে ১৫ দিন পর্যন্ত সংরক্ষন করা যায়।

ব্যবহার বিধিঃ

১) প্রতি ভায়ালে ০.৬ মিলি টিকা হীম শুষ্ক অবস্থায় থাকে।এই টিকা ব্যবহারের জন্য ৬ মিলি পরিশ্রুত পানি,জীবানুমুক্ত পরিষ্কার মিশ্রন পাত্র,সিরিঞ্জ,নিডল ও আইড্রপার প্রয়োজন হয়।

২) প্রথমে সিরিঞ্জের সাহায়্যে ৬ মিলি পরিশ্রুত পানি উক্ত পাত্রের মধ্যে নিতে হবে।সেই পানি থেকে প্রায় ২ মিলি পানি নিয়ে টিকা ভায়েলে প্রবেশ করে মিশ্রন তৈরি করতে হবে।টিকা গলানোলর জন্য ভায়াল ধীরে ধীরে নাড়তে হবে এবং সম্পর্ন মিশ্রনটি সিরিঞ্জে টেনে নিতে হবে।

৩) একটী পরিষ্কার জীবানুমুক্ত আই ড্রপার দিয়ে মুরগীর বাচ্চার চোখে প্রয়োগ করে কিছুক্ষন অপেক্ষা করতে হবে বাচ্চা ডোক গিললে বুঝা যাবে টিকা প্রদান সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে।প্রতি চোখে ১ ফোঁটা করে উভয় চোখে টিকাভ দিতে হবে।প্রথম টিকা প্রয়োগের ২১ দিন পর পুনরায় এই টিকা প্রয়োগ করতে হবে।

৪) এই টিকার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ৬ থেকে ৭ সপ্তাহ স্থায়ী থাকে।এ সময়কালের পরে বড় মুরগির রানীক্ষেত টিকা প্রয়োগ করতে হবে।

টিকা প্রয়োগের বয়সঃ

সাধারনত ৪ থেকে ৭ দিন বয়সে এই টিকা চোখে প্রয়োগ করা উত্তম।কারন এক্ষেত্রে মাতৃ এন্টিবডি দ্বারা টিকার ভাইরাস নিউট্রিলাইজ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

সরবরাহঃ

প্রতি ভায়ালে ১০০ মাত্রা টিকা থাকে।

মূল্যঃ

প্রতি ভায়ালের মূল্য ১৫.০০ টাকা।

(মুরগীর অন্যান্য টিকা সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন)

পিজিয়ন পক্স টিকা কিভাবে দিবেন?

0

পিজিয়ন পক্স রোগ কি?

এটি কবুতর ও বাচ্চা মোরগ-মুরগীর একটি ভাইরস ঘটিত রোগ।সাধারন ঈষৎ হলুদ বর্নের আঁচিল উঠতে পারে মাথা ও ঝুটিতে তবে অনেক সময় মুখ গহ্বর,খাদ্যনালী,শ্বাসনালীতে ক্ষত (ডিপথেরিক লিশন) হতে পারে।

প্রস্তুত প্রনালীঃ

মাঠ পর্যায়ে পিজিয়ন পক্সে আক্রান্ত কবুতর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা ডিমের ভ্রুনে প্যাসেজের মাধ্যমে পিজিয়ন পক্স টিকার মাষ্টার সীড তৈরি করা হয়।সীড ভাইরাসের সঙ্গে স্যালাইন ওয়াটার,এন্টিবায়োটিক ওফাংগিজোন মিশিয়ে ইনোকুলাম তৈরি করা হয়।ইনোকুলাম ১২ দিনের ডিমের ভ্রুনের কোরিও-এলান্টয়িক মেমব্রেনে প্রবেশ করানো হয়। ইনোকুলেটেড ডিম ৩৭˙সে তাপমাত্রায় ৫ দিন ইনকুবেট করার পর যে সমস্ত ডিমে পর্যাপ্ত পরিমানে Pox Lesion পাওয়া যায় সেগুলি সংগ্রহ করা হয়।সংগৃহীত মেমব্রেনগুলিকে গ্রাইন্ডিং ও সিভিলিং করে বা ছেঁকে নিয়ে সংগে চর্বিবিহীন দুধ,এন্টিবায়োটিক ও জৈব রঙ মিশিয়ে ০.৩ মিলি পরিমানে কাঁচের ভায়ালে ফিলিং করা হয়।পরে এই মিশ্রন হিমশুষ্ক করে টিকা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।এই টিকার রঙ লাল এবং  ৩ মিলি ভায়ালে সরবরাহ করা হয়।

সংরক্ষনঃ

এই টিকা -২০˙ সেঃ তাপমাত্রায় ন্যূনপক্ষে ১ বছর সংরক্ষন করা যায়।রেফ্রিজারেটরের আইস চেম্বারে -৫˙সে থীকে ০˙ সেঃ তাপমাত্রায় ৬ মাস গুনগত মান বজায় থাকে।

প্রয়োগের বয়সঃ

এই টিকা ৩-৭ দিন বয়সী মুরগিতে ও কবুতরে প্রয়োগ করতে হয়।

ব্যবহার বিধিঃ

১) প্রথমে টিকার ভায়ালে ৩ মিলি পরিস্রুত পানি নিয়ে ভাল করে মিশাতে হবে।এই টিকা প্রয়োগের জন্য বিশেষ ধরনের সুঁচ (Biforked Prickung neeedle) বা বিকল্প হিসাবে ইঞ্জেকশোনের সূর্চের অর্ধাংশ ডুবিয়ে মোরগ-মুরগীর পাখার নীচে দিকে ত্রিকোনাকৃতি মাংস বিহীন চামড়ায় একাধিকবার খুঁচিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।

২)এই টিকা একবার (বুস্টার ডোজসহ) প্রয়োগই যতেষ্ট।পুনরায় টিকা প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ে না।এই টিকা আজীবনের জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। মা থেকে মাতৃ এন্টিবডি বাচ্চায় সঞ্চারিত হয়।

সরবরাহঃ

প্রতি ভায়ালে ২০০ মাত্রা টিকা থাকে।

মূল্যঃ

প্রতি ভায়াল ২০.০০ টাকা

 

error: Content is protected !!