Home Blog Page 7

টিকা কার্যকর না হওয়ার প্রধান ১০ কারন

0


পশু-পাখি সুস্থ রাখার জন্য টিকা প্রয়োগ খুব গুরুত্ব পূর্ন।তবে টিকা সঠিকভাবে না দিলে সেই টিকা কাজ করে না।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করার জন্য টিকার ব্যবহার সঠিক হওয়া চাই।নিচে টিকা ব্যর্থ হওয়ার প্রধান ১০ টি কারন দেওয়া হলঃ

১। সুস্থ প্রাণিঃ

টিকা সবসময় প্রয়োগ করতে হবে সুস্থ পশু-পাখিকে।টীকা প্রদানের পর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠার জন্য প্রাণিটি সুস্থ থাকা খুবই জরুরী।সংক্রামক রোগ বা কৃমিতে আক্রান্ত পশু-পাখিকে টীকা প্রয়োগ করা উচিত নয়।তাতে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় না।অনেক দেখা যায় কোন একটা রোগ দেখা যাওয়ার পর ঐ রোগের টীকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন।এ পদ্ধতিটি সঠিক নয়।বরং এতে করে খামারে যে পশু-পাখিগুলো সুস্থ থাকে সেগুলো দ্রুত রোগাক্রান্ত হয়।

২। গর্ভবতী গাভীঃ

গর্ভবতী গাভীকে সব ঠিকা দেওয়া যায় না।আবার কিছু টীকা আছে যেটা গর্ভাবস্থায় প্রয়োগ করা যায়।তাছাড়া সব অবস্থায় টীকা প্রয়োগ করা যায় না।তাই এই ক্ষেত্রে টীকা প্রয়োগের পূর্বে চিকিৎসকের সাথে আলাপ করে নেওয়া জরুরী।বিনা কারনে ঝুঁকি না নেওয়াই উত্তম।

৩।টীকা পরিবহনঃ

টীকা উৎপাদন থেকে শুরু করে খামারে প্রয়োগ পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই টীকা নির্দিষ্ট তাপমাত্রা তাপমাত্রায় রাখতে হয়।যাকে আমরা “কুল চেইন” বলি।এই কুল চেইন কোন একটা জায়গায় ভেঙ্গে গেলেই টীকার মৃত্যু ঘটে অর্থাৎ টীকাটি তার কার্যকারিতা হারায়।এই অকার্যকর টীকা প্রদান করে কোন লাভ হবে না।টীকা দিলেও খামারে ঐ রোগ দেখা দিতে পারে।তাই ল্যাবরেটরীতে উৎপাদনের পর থেকে এই ব্যাপারে পদক্ষেত গ্রহন করা হয়।তাপ প্রতিরোধক কুল-ভ্যান/কিন্টেইনার/ফ্লাক্সের মধে বরফ দিয়ে টিকা পরিবহবন করতে হয়।বরফ গলে গেলে পুনরায় বরফ দিতে হয়।এই কষ্ট যদি করতে না পারেন।তাহলে টিকা প্রদান বিফলে যায়।

৪।সূর্যের আলোঃ

খেয়াল রাখতে হবে টিকা যাতে সূর্যের আলোর সংস্পর্শে না আসে।কারনে সূর্যের আলো এবং তাপের প্রভাবে টিকার গুনগতমান নষ্ট হয়।আর নষ্ট টিকা দিলে পাবেন কষ্ট।

৫।টিকা প্রয়োগের সময়ঃ

টিকা প্রয়োগের সঠিক হল সূর্য উদয়ের আগে অথবা সূর্যাস্তের পরে।সহজ কথায় বললে বলতে সকালে এবং সন্ধ্যায় টিকা প্রয়োগের সঠিক সময়।হোক না সেটা মুরগীর খামার হোক না সেটা গরুর বা ছাগলের খামার।গরমের মধ্যে ভর দুপুরে টিকা প্রয়োগ করলে কি হবে একবার ভেগে দেখুন।টিকা তো কাজ করবেই না বরং প্রাণিটির মৃত্যুর পর্যন্ত ভয় থাকে।

৬।টিকার সঠিক মিশ্রনঃ

টিকা প্রয়োগের পূর্বে টিকার বোতলের গায়ের নির্দেশনা সঠিক ভাবে পড়ে নিতে হবে।তাছাড়া কোন টিকা মিশ্রনের পূর্বে কোন নিয়মটি সঠিক ভাবে জানতে হবে।পরবর্তীতে টিকা প্রয়োগের জন্যও প্রয়োগের মাত্রা বা ডোজ সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে জানতে হবে।ডোজ কম বা বেশি হলে টিকা কাজ করবে না।তাছাড়া বিপদেরও আশংকা থাকে।

৭। টীকা প্রয়োগের সরঞ্জামঃ

টিকা প্রয়োগ ও মিশনের সময় যে সমস্ত পাত্র ,সিরিঞ্জ-নিডল,ডাইলিউশনে জন্য ব্যবহৃত পাত্র,টিকা ব্যবহারকারীর হাত ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবানুমুক্ত হওয়া প্রয়োজন।অনেক সময় টীকা প্রয়োগের সময় পানি মিশানো হয়।খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন পরিষ্কার, জীবানুমুক্ত,আয়রনমুক্ত হয়।সরঞ্জাম পরিষ্কারের জন্য কোন ধরনের জীবানুমুক্ত করন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না।কেননা এটি টিকাকে নষ্ট করে দিতে পারে।

৮।টিকার মেয়াদঃ

মেয়াদ উত্তীর্ণ বা টিকার ব্যবহার করকাক যাবে না। সাধারন রঙ পরিবর্তন হয়ে গেলে সে টিকাও ব্যবহার করা যাবে না।তাছাড়া অনেক আগে ব্যবহারে এনে খামারের ফ্রিজে ফেলে রাখা টিকাও ব্যবহার করা যাবে না।এই ধরনের টিকা ব্যবহার করলে লাভের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনা  থাকে বেশি।এখন সিদ্ধান্ত আপনার।

৯।টিকা প্রয়োগের স্থানঃ

সঠিক স্থানে সঠিক নিয়মে টিকা প্রয়োগ করতে হবে।অন্যথায় সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে গরুটি অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।তাই যেই টিকা মাংস পেশীতে প্রয়োগ করার সেটে মাংস পেশীতেই প্রয়োগ করতে হবে।আর যেটি চামড়ার নীচে দেওয়া সেটি চামড়ার নীচে প্রয়োগ করতে হবে।চোখে প্রয়োগের টিকা পানিতে মিশিয়ে খাওয়ালে হবে না।

১০।এন্টিবডি টাইটারঃ

টিকা প্রয়োগের ফলে পশূ বা পাখিটির শরীরের অভ্যন্তরে এক ধরনের পদার্থ তৈরি হয় যাকে আমরা বলি “এন্টিবডি”। এই এন্টি বডিই প্রাণির শরীরকে রোগ থেকে বাঁচাই।অর্থাৎ রোগ প্রতি রোধের মুল হাতিয়ার হল এই এন্টি বডি।একেক রোগের এক এক ধরনের এন্টবডী।এই এন্টিবডি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমানে  থাকলে এরা শরীররে ঐ রোগ হতে দেয় না।কিন্তু এই এন্টিবডীর পরিমান কমে গেলে ঐ রোগ হতে পারে।এই পরিমানটাকে এন্টিবডি টাইটার বলে।বড় বড় খামারগুলোতে টীকা প্রয়োগের পূর্বে এই টাইটার মাপা হয়।যদি টাইটা কম থাকে তাহলে টীকা প্রয়োগের মাধ্যমে এই টাইটার বৃদ্ধি করে।কিন্তু সবার পক্ষে এটা সম্ভব হয়ে উঠে না।তাই যতদিন পর পর টীকা প্রয়োগের নির্দেশ থাকে ততদিন পর পর টিকা প্রয়োগ করতে  হবে।

সবশেষ বলি,নিয়মিত সঠিক নিয়মে টিকা প্রয়োগ করুন আর খামার নিরাপদ রাখুন।
গরুর টিকা,ছাগলের টিকা,মুরগীর টিকা,ভেড়ার টিকা সম্পর্কে জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন

সহজে Excel format এ APA report  তৈরী

0


খুব সহজে APA Report তৈরী করার জন্য এই ফরমেটি তৈরী করা হয়েছে।মূলত উপজেলা পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ বিভাগের যেসকল দপ্তর আছে সেই সমস্ত দপ্তরের APA Reprot এর আদলে এটি তৈরী করা হয়েছে।শুধুমাত্র Excel Sheet এ Data Entry করতে পারলেই সহজে স্বল্প সময়ে এই রিপোর্ট্টি তৈরী করা যাবে।

APA Report Excel format টি Download করতে এই লিংকে ক্লিক করুন 

APA Report Excel farmat এর ব্যবহারের বিস্তারিত ভিডিও দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন

আসুন এবার জানা যাক কিভাবে কাজ করতে হবে?

ধাপ-১:  শুরু করতে হবে জুলাই মাস থেকে।Worksheet থেকে জুলাই মাস বের করে নিতে হবে।

ধাপ-২: নিচের ছবির মত নির্দেশিত জায়গায় অর্থ বছর এবং বছর এর নাম লিখতে হবে।এটা একবার লিখলেই সব পাতাই চলে যাবে।প্রতি পাতায় নতুন করে লিখতে হবে না।জুলাই মাসে বাৎসরিক লক্ষ্য মাত্রা লিখতে হবে।সেটা লিখলে অন্য সব মাসে লক্ষ্য মাত্র চলে

ধাপ-৩: এই ধাপে “জুলাই” worksheet এ স্মারক নং ,তারিখ, যে অফিসে পাঠানো হবে তার নাম এবং যে অফিস থেকে পাঠানো হচ্ছে তার অফিস প্রধানের নাম, পদের নাম এবং ঠিকানা লিখতে হবে।

এখানে স্মারক নং, তারিখ, এবং অফিস প্রধানের নাম প্রত্যেক পৃষ্টায় লিখতে হবে।

ধাপ-৪:  এরপর “Data Entry” woksheet এ গিয়ে বছরের নাম লিখতে হবে।জুলাই মাসে লিখলে সেটা সংক্রিয়ভাবে সব মাসে চলে যাবে।

ধাপ-৫: এরপর বিভিন্ন নির্ধারিত মাসের কলামে ঐ মাসের তথ্য প্রবেশ করাতে হবে।এখানে উল্লেখ্য সংখ্যা গুলো স্বাভাবিক হিসেবে যা আসে তা লিখলেই চলবে, লক্ষ বা কোটিতে রুপান্তরের প্রয়োজন নেই।তবে রিপোর্টে সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক্ষ-কোটিতে রুপান্তরিত হবে।

ধাপ-৬: যেই মাসের রিপোর্ট প্রয়োজন,worksheet এ সে মাসের নামে ক্লিক করলে ঐ মাসের রিপোর্ট পাওয়া যাবে।

ধাপ-৭: সবশেষে প্রিন্ট অপশানে গিয়ে প্রিন্ট করলেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে।একটু প্রক্টিস করলে কয়েক মিনিটেই করা যাবে এই রিপোর্ট।এখানে একটা জিনিস বিষয় উল্লেখ্য ফরমেটের লেখাগুলো NikoshBAN font দিয়ে করা হয়েছে এবং Windows 7 এবং তার পরবর্তী সফটওয়্যার দিয়ে এটি ব্যবহার করা যাবে।

তবে কাজটি সম্পূর্ন নিজ দায়িত্বে করতে হবে।এই ফরমেট ব্যবহার করে কোন জটিলতা তৈরি হলে এই ফরমেট তৈরি কারী কোনভাবেই দায়ী থাকবেন না।তাছাড়া এই ফরমেটট পরীক্ষামুলকভাবে তৈরি করা হয়েছে।এই ফরমেটের যেকোন ধরনের ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে অথবা কোন ধরনের সংযোজন বিয়োজন এবং অন্য যে কোন ধরনের পরিবর্তনের প্রয়োজন অনুভব করলে তা নিচে কমেন্টেসে জানানো জন্য অনুরোধ রইল।

লেয়ার মুরগীর আলোক কর্মসূচী

0


লেয়ার মুরগীর আলোর সঠিক কর্মসূচীর উপর নির্ভর করে খামারে অনেক গুরুত্বপুর্ন বিষয়।আলোর সময় সুচী ঠিক ঠাক মত থাকলে মুরগী সঠিক  সময়ে ডিম পাড়া শুরু করবে এবং দীর্ঘ দিন ভালভাবে ডিম দিবে।
লেয়ার মুরগীর একদিনের বাচ্চাকে দিন রাত চব্বিশ ঘণ্টা একটা আলো দিতে হবে ।এরপর ধীরে ধীরে কমিয়ে সপ্তম সপ্তাহে তা অর্ধেক করে ফেলতে হবে।অর্থৎ শুধু দিনে আলো জ্বলবে রাতে অন্ধকার থাকবে। পরবর্তীতে ২অ সপ্তাহ থেকে আলো বাড়ানো শুরু করতে হবে।যা  ২৭ সপ্তাহে ১৬ ঘন্টায় গিয়ে থামবে।

নিচে একটি টেবিলে এই আলোর সময় সূচী ধারাবাহিক ভাবে দেওয়া হল। ৩ নং কলামে দেখানো হয়েছে প্রতি ৪ বর্গফুট স্থানে কত ওয়াট আলোর প্রয়োজন। অর্থাৎ এর উপর ভিত্তি করে আপনাকে হিসেব করতে হবে কত ওয়াটের কত টি বাতি লাগবে।

বয়স দৈনিক আলোর সময় (খোলা ঘর) ওয়াট বাল্ব
(প্রতি ৪ বর্গফুট)
১-৩য় দিন ২৪ ঘণ্টা ২.২৫
৪-৬ষ্ঠ দিন ২৩  ঘণ্টা
৭ম দিন ২৩  ঘণ্টা ১.৫
২য় সপ্তাহ ২৩  ঘণ্টা
৩য় সপ্তাহ ২২ ঘণ্টা
৪র্থ সপ্তাহ ১৮  ঘণ্টা
৫ম  সপ্তাহ ১৬  ঘণ্টা ০.৭৫
৬ষ্ঠ  সপ্তাহ ১৪  ঘণ্টা ০.৭৫
৭ ম সপ্তাহ ১২  ঘণ্টা ০.৭৫
৮ম সপ্তাহ রাত্রে অন্ধকার ০.৭৫
৯-১৮ তম  সপ্তাহ রাত্রে অন্ধকার ০.৩৩
১৯তম তম সপ্তাহ রাত্রে অন্ধকার ০.৭৫
২০তম সপ্তাহ ১১   ঘণ্টা ০.৭৫
২১তম  সপ্তাহ ১২.৩০  ঘণ্টা
২২-২৩ তম  সপ্তাহ ১৩.৩০  ঘণ্টা
২৪-২৬ তম  সপ্তাহ ১৪.৩০  ঘণ্টা
২৭ তম  সপ্তাহ ১৫  ঘণ্টা
২৭ তম সপ্তাহ উর্ধ্বে ১৬  ঘণ্টা

উৎসঃলেয়ার মুরগী খামার স্থাপন হ্যাণ্ডবুক
জাতীয় প্রাণিসম্পদ উদ্যোক্তা প্রকল্প,প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর

ব্রয়লার মুরগির খাদ্য ব্যবস্থাপনার জন্য পাচঁটি গুরুত্ব পূর্ন বিষয়

0

১। পর্যাপ্ত জায়গার ব্যবস্থাঃ

ঘর নির্মাণ ও প্রস্তুতির সময় প্রথমেই নজর রাখতে হবে যাতে খাদ্য ব্যবস্থাপনার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকে।কারণ খাদ্যের পাত্রের জায়গার পরিমাণ যদি কম হয়ে থাকে তাহলে খাদ্য গ্রহণ ব্যাহত হয় এবং এতে ফ্লকের শারীরিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে সুতরাং উপযুক্ত খাদ্য ব্যবস্থাপনা।তাই শীতকালে( বিস্তারিত)  এবং গরম কালে (বিস্তারিত) পর্যাপ্ত জায়গা দিন।

২।খাদ্যের অপচয় রোধঃ

পর্যাপ্ত খাদ্যের পাত্রের জায়গা নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। মুরগির সংখ্যা এবং খাদ্যের সুষম বন্টনের উপর নির্ভর করে পাত্রের সংখ্যা নির্ধারণ করতে হয়। এছাড়া খাদ্য সরবরাহের সময় কম বেশি খাদ্য অপচয় হয়ে থাকে কিন্তু এই অপচয় যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

৩।পরিষ্কার জায়গায় খাদ্য সংরক্ষনঃ

খাদ্য সংরক্ষণের স্থানটিকে অবশ্যই শুষ্ক ও পানিমুক্ত রাখতে হবে। তা নাহলে ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির সংক্রমণকে রোধ করা যাবে না।

৪।গুদামের ধারন ক্ষমতাঃ

খাদ্য সংরক্ষণের স্থানটি এমন হতে হবে যাতে এতে কমপক্ষে ৫ দিনের খাদ্য ধারণ করে রাখা যাবে।একটা ঘরে দুইটি সংরক্ষণের স্থান রাখতে হবে যাতে কোন প্রযোজনে খাদ্য পরিবর্তন করতে গেলে অন্য স্থানে খাদ্য সরিয়ে রাখা যায়।

৫।মুরগী বিক্রির পর করনীয়ঃ

প্রতিবার ফ্লক শেষ হবার পর খাদ্য গুদাম ভালোমতো পরিষ্কার করতে হবে।

 

সফল ব্রয়লার খামারী গোপন রহস্য

0


রাঙ্গামাটি পৌরসভার বিডি আর রোড এলাকায় সফল সৌখিন ব্রয়লার খামারী জনাব নুরুল।

এই খামারীর একটি খুব ভালো উদ্যোগ হল,উনি এন্টিবায়োটিক মুক্ত ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করেন।

উনি দীর্ঘ দিন যাবত স্বাস্থ্যকর মুরগী নিশ্চয়তা দিয়ে বিক্রি করে আসছেন।

খামারের ভিতরে ঢুকলেই অবাক হয়ে দেখি প্রতিটি মুরগী ধবধবে সাদা চকচক চক করছে।কোন মুরগীর গায়ে কোন ময়লা নেই।

খামারের লিটার (ভুসি) খুব ঝরঝরে।নিয়মিত লিটার পরিষ্কার করেন।মজার বিষয় হল উনি কোন ভেক্সিনই ব্যবহার করেননি।

আলাপ করে জানা গেল ঔষধের জন্য খরচও খুব নগন্য।অন্য আর দশ জন খামারীর যে খরচ তার তুলনায় প্রায় ১০ গুন কম ঔষধ তিনি ব্যবহার করেছেন।

২৮ দিন বয়সে সব মুরগিই ১.৫ – ২.০ কেজির মধ্যে।খাবারও খেয়েছে অনেক কম।

তার খামারের মুল মন্ত্র হল “পরিচ্ছন্নতা”।সফল খামারের জন্য পরিচ্ছন্নতার কোন বিকল্প নেই।

আসুন এই খামারীকে আমরা অভিনন্দিত করি লাভজনক ভাবে নিরাপদ মাংস উতপাদন ও বিক্রি করার জন্য।

ডা:সুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অ:দা:)
রাঙ্গামাটি সদর

ব্রয়লার মুরগীকে কিভাবে পানি সরবরাহ করবেন?

0


ভাল উৎপাদন বৃদ্ধির মৌলিক ভিত্তি হল বিশুদ্ধ ঠাণ্ডা পানির পর্যাপ্ত সরবরাহ। পর্যাপ্ত পানির অভাবে মুরগির খাদ্য গ্রহনের পরিমাণ কমে যায় এবং মুরগির উৎপাদন বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। বদ্ধ এবং মুক্ত উভয় ধরনের পদ্ধতি একসাথে রাখা যায়।

বেল ড্রিংকাড়(মুক্ত পদ্ধতি) :

 

মুক্ত পানীয় ব্যবস্থাপনা যদিও কম ব্যয় বহুল, কিন্তু কিছু সমস্যা ও আছে। এই পদ্ধতিতে লিটারের গুণগত মান ও পানির বিশুদ্ধতা ধরে রাখাটা কঠিন। মুক্ত পদ্ধতিতে পানি পরিষ্কার রাখা খুবই কঠিন যা বিভিন্ন রোগের বাহক হিসাবে কাজ করে,ফলে প্রতিদিন পানির পাত্র পরিষ্কার করতে হবে।এতে শুধু শ্রমিকের খরচই বাড়বেনা, পানির অপচয় ও হবে।

ড্রিংকার স্থাপনা:

* বেল ড্রিংকারের ক্ষেত্রে প্রতিটি মুরগির জন্য ০.৬ সে.মি জায়গা দিতে হবে।

* সব বেল ড্রিংকারের ক্ষেত্রে পানির অপচয়
রোধ করার জন্য পাত্রের নিচে লোহা অথবা কাঠের নির্মিত পাটাতন ব্যবহার করতে হবে।

ব্যবস্থাপনা:

 

* সকল ড্রিংকারের ক্ষেত্রে নজর রাখতে হবে যাতে পানির পাত্রের উচ্চতা মুরগির পিঠ সমান উচ্চতায় থাকে।
* পানির পাত্রের উচ্চতা মুরগির বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়াতে হবে।
* একদিন বয়সের বাচ্চার ক্ষেত্রে পানির স্তর ড্রিংকারের মুখ থেকে ০.৫ সে.মি নিচে থাকবে এবং ৭ দিন বয়সের ক্ষেত্রে ১.২৫ সে.মি নীচে থাকবে।

পানি পরিমাপক

পানি গ্রহণ কমে যাওয়া, স্বাস্থ্য অথবা খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেলে পানীয়জল ব্যবহারে কোন সমস্যা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে।ফ্লকের পানি গ্রহণ মাত্রার উপর নির্ভর করে ফ্লকের সমস্যা বোঝা যায়।
স্বাভাবিক আবহাওয়ায় মুরগির পানি গ্রহণের মাত্রা খাদ্য গ্রহনের ২-৩ গুণ বেশি হয়,কিন্তু এটি নির্ভর করবে পারিপাশ্বিক তাপমাত্রা, খাদ্যের গুনগত মান এবং মুরগির স্বাস্থ্যের উপর।
* ২০-৩০ ডিগ্রি সে. এ প্রতি ১০ সে. তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে পানি গ্রহণ মাত্রা ৬% বৃদ্ধি পায়।
* ৩২-৩৮ ডিগ্রি সে.এ প্রতি ১ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে পানি গ্রহণ মাত্রা ৫% বৃদ্ধি পায়।
* তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সে. এর উপর গেলে প্রতি ১ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে ১.২৩% খাবার গ্রহন মাত্রা কমে যায়।

 

উতস:

ব্রয়লার খামার নির্দেশিকা, কাজী ফার্ম

error: Content is protected !!