Home Blog Page 8

গলা ফুলা রোগের টীকা কিভাবে করাবেন?

0

গলা ফুলা রোগ কি?

এটি একটি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত মারাত্মক রোগ। Pasteurella multocida নামক ব্যাকটেরিয়ার কারনে সাধারনত গরু মহিষে এই রোগ বেশি দেখা।তবে টীকা প্রয়োগেত মাধ্যমে অনেকাংশে এই রোগ প্রতিরোধ কর যায়।

কোন বয়সে করা যায়?

সাধারন গরু/ মহিষের ক্ষেত্রে ৬ মাসের পরে এবং ছাগল/ ভেড়ার ক্ষেত্রে ৩ মাস বয়স হলেই এই টীকা দেওয়া যায়।

ডোজ কত?

গরু/ মহিষের ক্ষেত্রে এই ডোজ হল প্রতি প্রাণির জন্য ২ মিলি চাড়ার নীচে।আর ছাগল ভেড়ার ক্ষেত্রে এই টীকার ডোজ হল প্রতি প্রাণির জন্য ১ মিলি।

কোথায় প্রয়োগ করতে হয়?

সাধারনত চামড়ার নীচে এই টীকা প্রয়োগ করা হয়।কত দিন পর প্রয়োগ করতে হয়?সাধারন প্রতি বছরে এক বছর এক বার এও টীকা প্রয়োগ করতে হয়।

কতটুকু থাকে?

সাধারন প্রতি ভায়েলে ১০০ মিলি ভেক্সিন থাকে

দাম কত?

প্রতি ভায়েল টীকার দাম ৩০ টাকা

আরো জানুন

ক্ষুরা রোগের টিকা কিভাবে করাবেন?
এন্থ্রাক্সের টিকা দেওয়া নিয়ম কি?
বাদলা রোগের টিকা দেওয়ার নিয়ম কি?

বাদলা/ BQ রোগের টিকা কিভাবে দিতে হয়?

0

বাদলা রোগের টীকা কি?

বাদলা বা Black quarter গবাদি পশুর একটি ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত রোগ।নামক ব্যাটেরিয়ার কারনে হয়।এই রোগ প্রতি রোধে টীকা প্রয়োগ করা হয়।

কোন কোন প্রাণিকে দিতে হয়?

গরু,ছাগল,মহিষ,ভেড়া ইত্যাদি প্রাণিকে দেওয়া হয়।

কত বয়সে দেওয়া হয়?

সাধারন ৪ মাস থেকে ৩ বছর বয়সী প্রাণিকে এই টীকা দেওয়া হয়?

ডোজ কত?

গরু,মহিষের ক্ষেত্রে ৫ মিলি চামড়ার নীচে প্রয়োগ করতে হয়।আর ছাগল।ভেড়া হলে ২ মিলি চামড়ার নীচে প্রয়োগ করতে হবে।

প্রতি বোতলে কতটুকু থাকে?

প্রতি বোতলে ১০০ মিলি থাকে।

দাম কত?

প্রতি ১০০ মিলি ( ১ বোতল) ভেক্সিনের দাম ৩০ টাকা

কত দিন পর পর প্রয়োগ করতে হয়?

একবার প্রয়োগ করার পর ১ বছর পর্যন্ত এর প্রতিরোধ ক্ষমতা কার্যকর থাকে।তাই প্রতি বছর এক বার প্রয়োগ করলেই চলে।

গরু ছাগলের আরো দুটি গুরুত্বপূর্ন টিকা হল ক্ষুরা রোগের টিকা এবং এনথ্রাক্সের টিকা
নিচের লিংকগুলো ক্লিক করলে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ক্ষুরা রোগের টিকা প্রয়োগের নিয়ম
এন্থ্রাক্সের টিকা প্রয়োগের নিয়ম

পশুকে এনথ্রাক রোগের টীকা কিভাবে দিবেন?

0

এন্থ্রাক্স রোগ কি?

গবাদি পশুর মারাত্মক একটি রোগ হক তরকা বা এনথ্রাক্স।এটি Bacillus anthrasis নামক ব্যাকটেরিয়া কারনে হয়।

কোন কোন প্রাণিকে দিবেন?

গরু,মহিষ ছাগল ঘোড়া ইত্যাদি

ডোজ কত?

গরু/ঘোড়া/মহিষের ক্ষেত্রে ১ মি.লি চামড়ার নীচে দিতে হবে। আর ছাগল ভেড়ার ক্ষেত্রে প্রতি প্রাণিকে ০.৫ মি.লি. চামড়ার নীচে দিতে হবে।

কত দিন পর পর দিতে হয়?

কোন প্রাণিকে সঠিকভাবে একবার দিলে তা ১ বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকেই।তাই প্রতিবছর একবার করে এই ভেকাসিন করালেই চলবে।

এক বোতলে কত ডোজ থাকে?

সরকারী সরবরাহকৃত এনথ্রাক্স ভেক্সিন প্রতি বোতলে ১০০ ডোজ থাকে।

দাম কত?

এক বোতল ভেক্সিনের সরকারী নির্ধারিত দাম হল ৫০ টাকা

গরু ছাগলের আরেকটি মারাত্মক রোগ হল ক্ষুরা রোগ এবং এবং বাদলা রোগ।এই দুটি রোগের টিকা সম্পর্কে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন

ক্ষুরা রোগের টিকা দেওয়ার নিয়ম

বাদলা রোগের টিকা দেওয়ার নিয়ম

ক্ষুরা রোগের টিকা কি এবং কিভাবে দিবেন?

0


ক্ষুরা রোগ একটি মারাত্মক ভাইরাস ঘটিত রোগ।Food and mouth diaease (FMD) ভাইরাসের কারনে এ রোগ হয়।

ক্ষুরা রোগের টিকা কি?

ক্ষুরা রোগ প্রতিরোধ করার জন্য ট্রাই ভেলেন্ট টিকা ব্যাবহার করা হয়।ট্রাই ভেলেন্ট অর্থ হল তিন ধরনের ক্ষুরা রোগে জীবানুর বিরুদ্ধে এই ভেক্সিন প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরী করে।

কোন কোন প্রাণিকে দেওয়া যায়?

সাধারন যে সমস্ত পশুর পায়ের ক্ষুরের মাঝখানে ফাঁক থাকে তাদের এই রোগ হয়
তাই এই ধরনের প্রাণিকেই ক্ষুরা রোগে ভেক্সিন করাণো হয়।যেমন: গরু,ছাগল ইত্যাদি।

ডোজ কত?

গরু/মহিষ/ ঘোডা হলে প্রতিটি প্রাণির জন্য ৬ মিলি করে চামড়ার নীচে ইঞ্জেকশন দিতে হবে।

আর ছাগল/ ভেড়া হলে প্রতিটি প্রাণিকে ৩ মিলি করে চামড়ার নীচে ইঞ্জেকশন দিতে হবে।

কোন বয়সের প্রাণিকে করাবেন?

সাধারন চার মাসের উপরে যেকোন বয়সী সুস্থ পশুকে করা যাবে।

কত দিন পর পর করাতে হবে?

প্রতি ৪- ৬ মাস অন্তর এই ভেক্সেন পুন: প্রয়োগ করতে হবে।

বোতকে কতটুকু থাকে?

প্রতি বতলে ৯৬ মিলি ভেক্সিন থাকে।

দাম কত?

প্রতি বোতল ভেক্সিনের দাম ১৬০ টাকা

গর্ভবতী গাভীকে করানো যাবে?

হ্যাঁ, গর্ভবতী গাভীকেও এই ভেক্সিন করানো যাবে।

 

গাভী ডাকে আসা বা গরম হওয়ার ১০ টি লক্ষন

0


লাভজনক দুগ্ধ খামারে জন্য একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হল গাভির ডাকে আসা বা গরম হওয়া সঠিক ভাবে নির্ধারন।ডাকে আসা বা গরম হওয়া সঠিকভাবে নির্ধারন করতে না পারলে সময় মত প্রজনন করানো যাবে না,আর সময় মত প্রজনন করানো না গেলে গাভীর গর্ভ ধারন হবে না।

তাই আপনাকে সঠিক ভাবে জানতে হবে আপনার গাভীরটি গরম হয়েছে কিনা।এজন্য গাভীর ডাকে আসার লক্ষনগুলো জানা থাকে খুব প্রয়োজন।আসুন সেই বিষয়ে আলোচনা করা যাক।

১।লাফালাফিঃ

গারু সাধারন লাফালাফি খুব একটা পছন্দ করে না।কিন্তু যখন সে ডাকে আসে তখন সে এই কাজটি শূরু করে।একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন,গরুটি যদি ডাকে আসে তাহলে সে অন্য গরুর উপর লাফানোর চেষ্ট করে।আবার অনেক সময় দেখা যায় তার উপর অন্য গরু লাফিয়ে উঠলেও খুব একটা বিরক্ত হয় না।তখন মোটামুটি ভাবে ধরে নিতে পারেন গাভীটি ডাকে এসেছে।

ডাকে আসলে গাভীটি অন্য গাভীকে লাফিয়ে উঠার সুযোগ দেয় এবং নিজেও লাফাই(Heat detection by riding of cow)

২।এলোমেলো কেশঃ

স্বাভাবিক ভাবে গাভীর পেছনের দিকে লেজের চার পাশের পশমগুলো সুশৃংখল হওয়ার কথা।কিন্তু যদি অন্য গরু পছনে উঠে থাকে তাহলে তা এলোমেলো হয়ে যাবে।তাহলে বিষয় কি দাড়াঁল? যদি লেজের চারপাশের পশম এলোমেলো থাকে তাহলে ধারনা করতে পারেন গরুটি ডাকে এসেছে।তবে এটা দিয়ে নিশ্চিত করে বলতে পারবেন না যে গরুটু ডাকে এসেছে।এই লক্ষনের সাথে অন্যান্য লক্ষনও মিলিয়ে দেখতে হবে।

৩।অন্তরঙ্গতাঃ

গাভী ডাকে আসলে অন্য গাভীর সাথে তার অন্তরঙ্গতা বেড়ে যায়।অনেক সময় দেখা যায় অন্য গাভীর গা চাটে,মুখে মুখ ঘসে এমনি অন্য গরুর যোনিতে মুখ ঘসতেও দেখা যায় এবং অন্য গরুও ডাকে আসে গরুটি যোনিমুখ ঘসতে দেখা যায়।যদি একাধিক গরু এক সাথে ডাকে আসে তাহলে তাদের নিজেরদের মধ্যে দল পাকানোর প্রবনতা দেখা যায়।

ডাকে আসার গাভীর যোনি মুখ অন্য গরু শুকে

৪।অস্থিরতাঃ

এই লক্ষনটি খামারীর খুব সহজেই চোখে পড়ে।যেই খামারী গাভীকে নিয়মিত দেখা শুনা করে তিনি সহজে এই পরিবর্তনট বুঝতে পারে।এই ক্ষেত্রে আপনি খেয়াক করবেন গাভীটি এদিক ওদিক হাঁটা হাটি করবে।ঘন ঘন ডাকা ডাকি করবে।খাবার দাবার কমিয়ে দিবে।

৫।প্রস্রাবঃ

ডাকে আসা গাভীটি ঘন ঘন অল্প অল্প প্রস্রাব করে।এই লক্ষনটিও অন্য লক্ষনের সাথে মিলিয়ে নিতে পারেন।

গাভী ডাকে আসলে ঘন ঘন প্রস্রাব করে

৬।অঙ্গ-ভঙ্গিঃ

ডাকে আসা গরুটি অনু গরুর যোনীর ঘ্রান নেয় এবং মাথা উচুঁ করে জিহ্বা বের করে দেয়।লেজ উচিয়ে রাখে অর্থাৎ যোনীর মুখ থেকে লেজটি বারবার সরিয়ে রাখে।

৭।শ্লেষ্মা বের হওয়াঃ

প্রিয় খামারী,গরু ডাকে আসার একটি স্পষ্ট লক্ষন হল যোনী পথা দিয়ে স্বচ্ছ, আঠালো ডিমের সাদা অংশের মত শ্লেষ্মা জাতীয় পদার্থ বের হওয়া।এই পদার্থ যোণীমুখ,নিতম্ব,পা,পিঠ এবং তলপেটে লেগে থাকতে দেখা যায়।

সাধারনত ডাকে আসা গাভীর শরীরে ইষ্টোজেন হরমোন বেড়ে যাওয়ার কারনে এ ঘটনা ঘটে।তবে গরু গরম হওয়ার আগে থেকে শুরু করে,গরম হওয়া এবং গরম চলে যাওয়ার পরও এই শ্লেষ্কা দেখা যেতে পারে।

মজার বিষয় হল,কিছু কিছু গরু ডাকে আসলে কোন ধরনের শ্লেষ্মাই দেখা যাই না।কেবল মাত্র কৃত্রিম প্রজননের সময় জরায়ুতে চাপ দিলে এই শ্লেষ্মা দেখা যায় না।এই জন্য অনেক গরু ডাকে আসলেও বুঝতে পারে না।এক্ষেত্রে বুঝার সহজ উপায় হল,অন্যান লক্ষঙ্গুলো ভালভাবে খেয়াল করা।

৮।যোনী মুখ ফুলে যাওয়াঃ

যে খামারী নিয়মিত গাভীটি দেখা শোনা করেন উনি একটু খেয়াল করেই দেখতে পারেন প্রস্রাবের রাস্তা ( যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় যোনীমুখ বলে (vulvar lips)) একটু ফুলে গেছে।এই জায়গাটি স্বাভাবিক অবস্থায় একটু কুঁচকানো থাকে।যোনী মুখের ভিতরের দিকে লাচলে হয়ে যায়।সাধারনত ডাকে আসার একটু আগে এ ঘটনা ঘটে যা বেশিক্ষন স্থায়ী হয় না।পরবর্তীতে তা গাড় গোলাপী বর্ন ধারন করে।

যোনী মুখে থাকে কেশগুলো কিছুটা ভেজা ভেজা হয়ে যায়।

৯।রক্তপাতঃ

এই ঘটনাটি ডাক চলে যাওয়ার পরপরই ঘটে।অর্থা ডাক চলে যাওয়া দুই-তিন দিন পর ঘটে।এটি দ্বারা বুঝা যাই গাভীটি ডাকে এসেছিল এবং ১৫-২০ দিন পর পুনরায় ডাকে আসবে।

এই ক্ষেত্রে যোনি পথ দিয়ে সামান্য রক্ত পাত হতে দেখা যায়। যা সামান্য কালচেও হতে পারে।

১০। দুধ উৎপাদনঃ

গাভী যখন ডাকে আসে তখন অন্যান্য দিনেরভ তুলনায় দুধ উৎপাদন কমে যায়।শুধু মাত্র এই একটি লক্ষ দিয়েও গরু গরম হয়েছে কিনা সেটা বুঝে নিতে হয়। তবে এক্ষেত্রে অনেক দক্ষতার প্রয়োজন।

গাভী গরম হলে সাধারনত এই লক্ষনগুলো প্রকাশ পায়। তবে সবগুল লক্ষন একই গরুতে প্রকাশ নাও পেতে পারে।সেক্ষেত্রে দু’একটা লক্ষন দেখেই বুঝে নিতে হবে গরুটি ডাকে এসেছে কিনা।আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই কোন লক্ষনই প্রকাশ নাও পেতে পারে।এই সব ক্ষেত্রে গাভী ডাকে এসেছে কিনা সেটা বুঝা মুশকিল হয়ে পড়ে।কিন্তু ঘটনা খুব কম।তাই এই দশটি লক্ষন জানলেই আপনি মোটামুটিভাবে বুঝে যাবেন আপনার গরূটি ডাকে এসেছে কিনা।আর কখন প্রজনন করাবেন।

গাভীকে দৈনিক খড়,কাঁচা ঘাস, দানাদার খাদ্য কতটুকু দিবেন?

0


কোন গাভীকে কতটুকু কাঁচা ঘাস দিবেন কতটূকু শূকনো ঘাস দিবেন, আর কতটুকু দানার খাদ্য দিবেন?
এই প্রশ্ন আপনার মনে জাগতেই পারে।আর এই প্রশ্নের সদ উত্তরের উপর নির্ভর করছে আপনার খামারের লাভ ক্ষতি।কারন সঠিক মত খাবার দিলে গাভীও সঠিক মত দুধ দিবে।আর সঠিক মত দুধ দিলে তো খামার সফলার দিকেই আগাবে।আর তার বিপরিত হলে কি হবে সেটা না হয় আর নাইবা বললাম।

এবার আসুন কোন খাদ্য কতটুকু দিবেন সেটা নিয়ে ভাবা যাক।যেহেতু আমাদের দেশে অনেক খামারীই পশুকে খড় খাওয়াই তাই আলোচনা করা যাক।

খড় কতটুকু খাওয়াবেন?

খড় পশূর জন্য একটি শুষ্ক খাদ্য এবং পুষ্টি মানও কম।তবে পশুর পাকস্থলীর সঠিক কার্যক্রমের জন্য খড় দরকার।যদি আমি ধরে নেই আপনার গাভীর ওজন ১০০ কেজি তাহলে কতটুকু ঘাস দিবেন।সেক্ষেত্র আপনাকে দৈনিক কমপক্ষে ২-৩ কেজি দিতে হবে তবে তা সর্বোচ্চ ৩-৪ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।
তাহলে ২৫০ কেজি  সংকর একটি গাভীর জন্য কমপক্ষে ৫-৬ কেজি খড় দৈনিক দিতে হবে।

কাঁচা ঘাস কতটুকু লাগবে?

এবার আসুন গাভীর জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচা ঘাসের পরিমান হিসাব করি।১০০ কেজি ওজনের একটি গাভীর জন্য প্রতিদিন প্রায় ১০-১৫ কেজি কাঁচা ঘাস প্রয়োজন।আর যদি গাভীটি হয় সংকর জাতের গাভী তাহলে ১৫-২০ কেজি কাঁচা ঘাস দিতেই হবে।আর যদি সেটি দুগ্ধবতী গাভী হয় তাহলে যুক্ত করতে হবে আরো ৫- ৭ কেজি সবুজ কাঁচা ঘাস।

এই কাচাঁ ঘাস আবার দুই ধরনের।একটি হল লিগিউম অন্যটি হল নন-লিগিউম।গাভীর খাবারে দুই ধরনের ঘাসই পরিমান মত থাকা চাই।

দানাদার খাদ্য কতটুকু লাগবে?

গাভীর পুষ্টির অনেক উপাদানই আসে দানাদার খাদ্য থেকে।তাই খড় ও কাঁচা ঘাসের পাশাপাশি অবশ্যই পশুকে দানাদার খাদ্য খাওয়াতে হবে।কিন্তু তা কতটুকু?

সাধারন গাভীর জন্যঃ

ধরেন আপনার দেশি গাভীটির ওজন ১০০ কেজি তাহলে তাকে কমপক্ষে ১.৫ – ২ কেজি দানাদার খাদ্য দৈনিক দিতে হবে।আর গাভী যদি হয় সংকর জাতের যার ওজন ২৫০-৩০০ কেজি তাহলে তার জন্য ৩-৪ কেজি দানাদার খাদ্য দেওয়া চাই ই চাই।

দুগ্ধবতী গাভীর জন্যঃ

প্রিয় খামারী,
এতক্ষন ধরে লেখাটি পড়তে পড়তে আপনি ভাবছিলেন আচ্ছা সব গাভীকে কি একই রকম দানাদার খাদ্য দিব?
অর্থাৎ যে গাভী দুধ দেয় আর যে গাভী বাচ্চা এখনো গর্ভবতীই হয়নি সবাই কে কি ওজন হিসেবে একই খাবার দিবা?

উত্তর হল অবশ্যই “না”।আপনি মনে হয় ভাবছিলেন দানাদার খাদ্যের পরিমান আলাদা আলাদা হবে।ঠিক তাই।
ধরেন ১০০ কেজি ওজনের গাভীটি যদি ২-৩ লিটার পর্যন্ত দুধ দেয় তাহলে ঐ ২ কেজি দানাদার খাদ্যেই তার জন্য যতেষ্ঠ।তবে দুধের পরিমান যদি বাড়ে তাহলে দানাদার খাদ্যের পরিমানও বাড়াতে হবে।

দানাদার খাদ্য বাড়ানো হিসাবটি হল,প্রথম ৩ লিটারের পর প্রতি ২.৫ লিটার দুধ বৃদ্ধির জন্য করতে হবে।এবার আপনার কাছে একটি প্রশ্নঃ

প্রশ্নঃ ২৫০ কেজি ওজনের একটি সংকর গাভী  দৈনিক ১৩ লিটার দুধ দেয় তাহলে তাকে দৈনিক কত কেজি দানাদার খাদ্য দিতে হবে?

ভাবুন!!!!

ভাবুন!!!!

ভাবুন!!!!!

এবার দেখুন আপনার ভাবনাটি ঠিক আছে কি না?
নিচের হিসেবের সাথে আপনার হিসাবটি মিলিয়ে নিতে পারেন।।

১০০ কেজি গাভীর জন্য দানাদার খাদ্য ১.৫ কেজি
তাহলে,২৫০ কেজি গাভীর জন্য দানাদার খাদ্য প্রয়োজন ১.৫ x ২.৫ = ৩.৭৫ কেজি

যদি গাভীটি ২- ৩ লিটার দুধ দিত তাহলে আর অতিরিক্ত দানাদার খাদ্যের প্রয়োজন হত না।কিন্তু গাভীটি দুধ দিচ্ছে ১৫ লিটার।
তাহলে বারতি ১৩-৩ লিটার= ১০ লিটার এর জন্য আরো দানাদার খাদ্য প্রয়োজন।

এই ক্ষেত্রে হিসাবটি হল
বড়তি ২.৫ লিটার দুধের জন্য অতিরিক্ত দানাদার খাদ্য দিতে হবে ১ কেজি।
তাহলে বাড়তি ১০ লিটারের জন্য অতিরিক্ত দানাদার খাদ্য দিতে হবে ১ X ৪ = ৪ কেজি

সব মিলে দাড়াল,
২৫০ কেজি ওজনের যে গাভী প্রতিদিন ১৩ লিটার দুধ দেয় তাকে দৈনিক ৩.৭৫ + ৪ = ৭.৭৫ কেজি দানাদার খাদ্য দিতে হবে।এইটা আপনি ৬-৭.৫ কেজির মধ্যে রাখতে পারেন।

তবে সাবধান, দানাদার খাদ্যের মোট পরিমান ৯-১০ কেজির উপর গেলে এই ফর্মূলা আর কা করবে না। সেই সময় অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদের পরামর্শ গ্রহন করতে হবে।

গর্ভবতী গাভীর দানাদার খাদ্যঃ

গর্ভবতী গাভী, গর্ভের প্রথম পাঁচ মাস,
প্রতি ১oo কেজি ওজনের জন্য ১.৫ – ২ কেজি করে পাবে।সাথে যদি দুগ্ধবতী হয় তাহলে উপরের নিয়ম অনুসারে দানাদার খাদ্য দিতে হবে।

গর্ভবতী গাভী, গর্ভের ৬ মাস থেকে বাচ্চা দেওয়া পর্যন্ত,
এই সময় গাভী স্বাভাবিক নিয়মের সাথে বাচ্চার জন্য আলাদা ভাবে ১-১.৫ কেজি দানাদার খাদ্য পাবে।

তাহলে কি দাড়াঁল

ছয় মাসের গর্ভবতী গাভীর দানাদার খাদ্যের পরিমান= (১। সাধারন ওজনের জন্য+২। দুধের জন্য + গর্ভস্থ বাচুরের জন্য) দানাদার খাবার

এবার বলুন তো

প্রশ্নঃ২৫০ কেজি ওজনের সেই ১৩ লিটার দুধের সংকর গাভীটি ৬ মাসের গর্ভবতী হলে দৈনিক কতটুকু দানাদার খাদ্য পাবে?

উত্তর হল ৭.৫– ৮.৫ কেজি।অংকটি আপনি অবসরে করে নিতে পারেন।

হয়ে গেল আপনার গরুর দৈনিক খাবারে হিসাব নিকাশ।তবে যদি পুষ্টির বিষয়টি নিশ্চিত করতে চান সেই ক্ষেত্রে খাদ্যের প্রতিটি উপাদান আলাদা আলাদা ভাবে হিসেব করতে হবে বলে অনেকে তাল-গোল পাকিয়ে যেতে পারে তাই সেই হিসেবে আর গেলাম না।

error: Content is protected !!