গাভীর কলিজা কৃমির সংক্রমন আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে একট মারাত্মক রোগ।এ রোগের সবচেয়ে উল্লেখ্য যোগ্য বৈশিষ্ট্য হল গলার নীচে ফুলে যাওয়া যাকে ডাক্তারী ভাষায় বলে bottle jaw.এই ক্ষেত্রে গলার নীচে তরল জমে বোতলের মত ঝুলে যায়।
কলিজা কৃমি পশুর কলিজা ছিদ্র করে যার কারনে কলিজা ঠিক মত কাজ করে না।ফলে শরীরের নিচের অংশগুলোতে পানি জমে যাকে আমার Extra cellular sobcutaneous fluid বলি। এটা সবচেয়ে বেশী দৃষ্টি গোচর হয় গলার নীচে।
এই ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে পাতলা পায়খানা থাকতে পারে।গরু শুকিয়ে যাবে।হাড় বের হয়ে যেতে পারে।
এই সমস্যা সমাধানে যেসমস্ত কৃমি নাশক কলিজা কৃমির বিরুদ্ধে কাজ করে তা খাওয়াতে হবে।এমনকি যদি প্রাণিটি গর্ভবতী থাকে তাহলেও।
নীচে দুইটি ছবি দিলাম প্রথমটি।প্রথমটি হল চিকিতসার আগে এবং ২য়টি সুস্থ হবার পর।
আশা করি আপনারা আপনাদের প্রাণিটিকে কলিজা কৃমির ছোবল থেকে বাচাঁতে পারবেন।
গাভীর কলিজা কৃমি সংক্রমন
ভাল জাতের দুধের গাভী চিনবেন কিনবেন কি ভাবে?
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ খামারীই চাই ভাল জাতের গাভী দিয়ে ডেইরী খামার শুরু করতে।তার বিভিন্ন জায়গায় ভাল জাতের গাভী খুঁজে বেড়ায়।কারন বেশির ভাগ উদ্যোগতাই চাই নিজ খামার থেকে ভাল লাভ বের করে আনতে।
কিন্তু এ কাজ করার আগে আপনাকে জানতে হবে।আসলে ভাল দুধের গরু বলতে কি বুঝায়?অনেক বড় ওলান হলেই কি সেটা একটা ভাল জাতের দুধের গাভী হবে? অথবা যে গরুটি একদিনেই অনেক দুধ দেয় সেটাই কি সেরা গাভী? নাকি যেটা পা লম্বা-শম্বা!
এই সব প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে গরুটি কি রকম,আপনার খামারে কতটি গরু আছে আর কি পরিবেশে আপনি গরুটি লালন পালন করছেন এই সব বিষয়ের সামগ্রিক ফলাফলের উপর।
কেউ কেউ মনে করে বেশি দুধ দিলেই গাভীটি ভাল আবার কেউ ভাবে বেশি দুধ না দিক, কিন্তু দীর্ঘ দিন গরুটি দুধ দেয় তাহলে এটিই ভাল।আর ভাল দুধের গরুর সংজ্ঞা একেক জনের কাছে একেক রকম।
একটি গাভী কেমন হবে তা মুলত দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে।তন্মধ্যে একটি হল গাভীটির পুর্ব পুরুষ কেমন ছিল তার উপর আর অন্যটি হল গাভীটির পারপার্শিক অবস্থার উপর।তাই ভাল গরু চিনতে হলে এই দুইটি বিষয়েও ধারনা থাকা প্রয়োজন।
তাহলে আপনি একটি ভাল গাভী কেনার আগে কি কি বিষয় ভাবতে হবে?
আপনাকে ভাবতে হবে সারা বছর আপনি কোন ধরনের খাবার দিবেন ,আপনি কি ঘরে বেঁধে পালাবেন, নাকি ছেড়ে পালাবেন?আপানার এলাকার আবহাওয়া কি রকম?বর্ষা কালে এবং গ্রীষ্মকালে আপনার খামারের ব্যবস্থা কি?আপনার এলাকায় দুধের বাজার কেমন ? কোন ধরনের দুধের চাহিদ বেশি? পাতলা না কি ঘন? এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।
এই বিষয় গুলো ভাবার পর আপনাকে গরু বাচাই করতে হবে।
গরু বাচাইয়ে আগে অবশ্য গরুর কিছু বৈশিষ্ট্য যাচাই করতে হবে।তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কিছু বিষয় নীচে আলোচনা করলাম।
১।ওলানের গঠন
ওলানের গঠন হবে কোমল এবং নমনীয় অনেকটা থলের মত গঠন। ওলান দ্যোদুল্যমান হবে না বরং সাসপেনসরি লিগামেন্ট (এক ধরনের বন্ধনী যা ওলানকে শরীরের সাথে আটকে রাখে) দ্বারা শক্ত ভাবে আটকানো থাকবে যা প্রায় যোনিদ্বারে কাছাকাছি পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে।বড় ওলান মানেই কিন্তু সবসময় ভাল গাভী নয়।অনেক সময় মাঝারি আকারের ওলান হলেও ভাল দুধের গাভী হতে পারে।তবে তার গোড়াটি বিস্তৃত হতে হবে।এই ক্ষেত্র খেয়াল রাখতে হবে যেন তা হাটুর (Hock joint) নীচে ঝুলে না পড়ে।ওলানের বাটগুলো একই আকারের হওয়া একটি ভাল লক্ষন।আর চারটি বাঁটই পরষ্পর থেকে সমান দূরত্বে এবং সমান্তরাল হওয়া চাই।বাটগুলো সোজাঁ ( straight) হয়ে ওলান থেকে নীচের দিকে ঝুলে থাকবে।(ভিডিও)

২।দুগ্ধ শিরাঃ
দুগ্ধ শিরা মোটা ও স্পষ্ট হবে।তলপেটে নাভির পাশ দিয়ে দুগ্ধ শিরা আঁকাবাঁকাভাবে বিস্তৃত থাকবে।
৩।পায়ের গঠনঃ
ভাল গাভীর জন্য পায়ের গঠন একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়।বেশি লম্ব বা একদম খাটোঁ পায়ের গরু ডেইরী খামারের জন্য উপযুক্ত নয়।পায়ের আকৃতি হওয়া চাই মাঝারি আকৃতি শক্ত সামর্থ্য। কারন গাভীর জীবনের অনেকটুকু সময় গর্ভবতী অবস্থায় কাটায়।তাই পাগুলো এমন হওয়া চাই যাতে দুধ দান কালীন সময়ে গর্ভবতী হলেও যাতে শক্ত পায়ে চলা ফেরা করতে পারে।পায়ের গঠন মোটা সোটা এবং শক্ত হলে এই গাভী বছরের পর বছর দুধ দিবে অর্থাৎ বাঁচবে দীর্ঘ দিন।
যদি পিছন থেকে তাকান তাহলে দেখতে হবে পিছনের পাগুলো যেন সোজা করে দাঁড়িয়ে আছে কিনা?যদি তাই হয় তাহলে খেয়াল করুন পিছনের দুই পায়ের মাঝখানে প্রশস্ত আছে কিনা।
এবার পাশে থেকে তাকান, তাহলে দেখতে হবে হাটুর ভাঁজটি সামান্য পিছনের দিকে আছে কিনা (sickle hock)অর্থাৎ হাঁটুর পিছনে সামান্য কোনাকৃতি হয়ে থাকবে (>) ।
সামনের পাগুলোও খাড়া থাকবে এবং খুঁড়ের উপরে জোড়াটি (Pastern joint) সুঠাম হবে। আর এই দুই পায়ের মাঝখানটা পর্যাপ্ত প্রশস্ত হবে। পিছনের নিতম্বের হাড়গুলো (Pin bones) প্রসারিত হবে। (ভিডিও )
৪।দৈহিক আকৃতিঃ
ভাল গাভীর দেহ সাধারন সামনের দিকে হালকা এবন পিছনে দিকে ভারী ও সুগঠিত
ভাল গাভীর দেহের আকৃতিটা হয় অনেক ত্রিকোনাকার অর্থাৎ সামনের দিকে একটু সরু এবং সামনে থেকে পিছনের দিকে তা ক্রমান্বয়ে প্রশস্ত।গাভীর ঘাড়টা লম্ব হওয়া চাই।থুতনি হবে বড় আর পিঠের মেরুদন্ড হবে সোঁজা।
গাভীর চামড়া হবে পাতলা ডিলে-ঢালা।চামড়ার নীচ্ব অহেতুক চর্বি জমবে না।তবে চামড়ার রং উজ্জ্বল হতে পারে।
৫।পাঁজরঃ
হয়।গাভীর বুকের পাঁজর হবে প্রসারিত যতে করে শরীর অভ্যন্তরীন বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গগুলো সঠিক পরিমান জায়গা পায়।তাছাড়া গর্ভবতীকালীন যাতে বারতি চাপ সালাতে পারে এ জন্যও পর্যাপ্ত জায়গা প্রয়োজন।
৬।প্রজনন ক্ষমতাঃ
গাভীকে গর্ভবতী করার জন্য কয়বার প্রজনন করানো হচ্ছে তার উপর আপনার খামারের সফলতা ব্যর্থতা অনেকাংশে নির্ভর করে।যে গাভীকে যত কম কৃত্রিম প্রজনন করিয়ে গর্ভবতী করা যায় সেই গাভীর প্রজনন ক্ষমতা তত ভাল।তাই ভাল প্রজনন ক্ষমতা সম্পন্ন (Conception Rate) গাভীকেই খামারের জন্য নির্বাচন করতে হবে।যেই গরুর প্রজননে সমস্য আসে অথবা বার বার প্রজনন ( Repeat Brereding) করে গর্ভবতী করাতে হয় সেই গাভী খামারে রাখা ব্যয়বহুল এবং খামারের জন্য অলাভজনক।
খামারীকে লক্ষ্য রাখতে হবে প্রতি বছর প্রতি গরু থেকে যে একটি বাচুর (One calf per cow per year) পাওয়া যায়।সেটা সর্বোচ্চ ১৪ মাস পর্যন্ত সহ্য করা যায় তবে তার বেশি নয়।
৭।গড় আয়ুষ্কালঃ
গাভী তার জীবন দশায় কতটী বাচ্চা দেয় আর কতটূকু দুধ দেয় সেই বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ন।যদি শারীরিক অবস্থা ,প্রজনন ক্ষমতা শ বিভন্ন বিষয়ের সাথে এটি সম্পৃক্ত।তার পরেও খেয়াল রাখতে হবে সেই গরুটি আপনি নিচ্ছেন তার মা-দাদীর দুধের ইতিহাস কেমন অথবা যে বীজটি দিয়ে আপনার খামারে গাভীটিকে প্রজনন করাচ্ছেন তাই পূর্ব পূরুষের দুধ উৎপাদন ক্ষমতা কেমন?তা ছাড়া তারা জীবদ্দশায় কয়টই বাচ্চা দিয়েছে বিষয়টি জানতে পারলে তো আর কথাই নেই। এই জন্য প্রত্যেক খামারীর উচিত রেকর্ড সংরক্ষন করা।
৮।জাত নির্বাচনঃ
যেই গরুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি এবং যেই গরুর রোগ হলে সহজে সুস্থ করে তোলা যায় সে সমস্ত গরু নির্বাচন করতে হবে।এখন জনার হল সেই জাতটাকোন জাত।
আমাদের দেশের আবহাওয়া থাকে অস্থির অর্থ বছরে বিভিন্ন সময় প্রকৃতি বিভিন্ন রুপ ধারন করে।তাই রোগ বালাই বেশি হয়।এই অবস্থা কোন খাঁটি জাত (pure breed) খামারের জন্য সুখকর হবে না।আমাদের দেশের জন্য উপযুক্ত হল সংকর জানতে গরু।যেই গরুগুলো উন্নত জাতের গরুর সাথে দেশি জাতের গরু সংকরায়নের ফলে পাওয়া যায়।
৯।বাচ্চা ধারন ক্ষমতাঃ
গর্ভবতী অবস্থায় বাচ্চাকে সঠিক ভাবে ধারন করার জন্য জরায়ুর পার্শবর্তী হাড়গুলো গঠন সঠিক হওয়া জরুরী।
যদি পিছন থেকে তাকান তাহলে খেয়াল করতে হবে যে হাড়ের কোটরীর(Pelvic gurdle) মধ্যে বাচ্চা বড় হয় সেটি পর্যাপ্ত প্রশস্ত আছে কিনা?পাশ থেকে তাকালে দেখতে পাবেন।লেকের গোড়া( Hip bone) থেকে নিতম্বের উঁচু অংশের(pin bone) দিকে ক্রমশ ঢালু হয়ে গেছে।
তলপেটের অংশটি হবে সোজা এবং সুঠাম যা গর্ভবতী অবস্থায় গাভীটিকে সঠিক ভাবে খেতে এবং বাচ্চা ধাড়োণ করতে সহায়তা করবে।
১০।দুধ নিঃসরন ক্ষমতাঃ
দুধ দোহনের সময় গাভী কত দ্রুত দুধ ছাড়ছে তার উপর দুধ উৎপাদন ক্ষমতা অনেকাংশে নির্ভর করে।কারন দুধ নিঃসরন নিয়ন্ত্রন করে অক্সিটোসিন নামের একটি হরমোন যা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রক্তে থাকে ।ঐ নির্দিষ্ট সময় পরে ওলানে দুধ থাকলে ঐ দুধ আর সঠিক ভাবে দোহন করা যায় না। অর্থাৎ একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনাকে দুধ দোহন সম্পন্ন করতে হবে।
এই কাজটি করার জন্য বাঁটের আকার,আকৃতি এবং ছিদ্র সঠিক হওয়া চাই হওয়া চাই সঠিক।আর গরু যদি হয় বেশী রাগী অস্থির হয় তাহলে ঐ অক্সিটোসিন হরমোন এর প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি হয়।আই খামারের জন্য শান্ত শিষ্ট গরুই খামারের জন্য নির্বাচন করতের হবে।
ধর্য্য ধরে যখন একটুকু পড়েছেন তাহলে আশা করি ধর্য্য ধরে একটি ভাল জাতের গাভীই আপনার খামারে জন্য সংগ্রহ করতে পারবেন।
(ডেইরী খামারের বিভিন্ন বিষয় বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন)
ধন্যবাদ সাথে থাকুন
Farmer Hope
Reference :
1.www.nation.co.ke
2.দুগ্ধ খামার হ্যাণ্ডবুক,প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
3. Internet
4.Others
শুকুর পালন বিষয়ক প্রশিক্ষন (২৯/০১/১৮ ইং)
এন,এ,টি,পি -২ প্রকল্পের আওতায় সাপছড়ি ইউনিয়নের ন্যাড়াছড়ি এলাকার সি,আই,জি সদস্যদের শুকর পালন বিষয়ক প্রশিক্ষন্ন প্রদান করা হয়।
ডা:সুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা(অ:দা:)
রাঙ্গামাটি সদর,রাঙ্গামাটি
রাঙ্গামাটিতে সদর উপজেলায় ব্রাহমা গরুর প্রথম বংশধরের জন্ম
অধিক মাংস উৎপাদনের জন্য প্রসিদ্ধ “ব্রাহমা” জাতের গরুর প্রথম বংশধর এল রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার জিয়াউল হকের খামারে।সম্মানিত খামারী, আপনাকে অভিনন্দন। (ভিডিও দেখতে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন)
বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতি পূর্ন দেশ।দেশে এই বিপুল জনসংখ্যার তুলনায় উৎপাদন অনেক কম এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে এই চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।এমতাবস্থায় দেশে মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য “বীফ ক্যাটেল ডেভেলপমেণ্ট প্রোজেক্ট” হাতে নেওয়া হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় “বীফ ক্যাটেলে ডেভেলপমেণ্ট প্রকল্পের” আওতায় জিয়াউল হকের দেশি গরুটিকে ব্রাহামা জাতের বীজ দিয়ে কৃত্রিম প্রজনন করিয়েছিলে সহকর্মী এফ,এ (এ,আই) দীপল চাকমা।পরবর্তীতে চলে প্রাণিসম্পদ বিভাগের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ।

নির্দিষ্ট সময় পরেই জন্ম নেই ব্রাহমার প্রথম বাচ্চাটি যার মা “দেশী” জাতের।খামারীর আনন্দ আর ধরে না।খবর পাওয়া সাথে সাথেই সহকর্মী দীপল চাকমাকে নিয়ে ছুটে যায় খামারে।কারন এই আনন্দ যে আমাদেরও।
পরবর্তীতে খামারীকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হয়।ব্রাহমা জাতের গরুর বাচ্চাগুলো বৃদ্ধির হার দ্রুত হওয়ায় এদের পর্যাপ্ত খাবার দিতে হয় ।তাই প্রথম অবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমান দুধ খাওয়াতে হবে।এই বিষয়ে খামারীকে সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হয়।
খামারের মুল দেখা শোনার কাজটি করেন জিয়াউল হকের মা।উনার সাথে আলাপ করে জানা যায়,উনি খুবই আশাবাদী এবং খুশি ব্রাহমা বাচ্চা পেয়ে।পরবর্তীতে উনি এই জাতের গরু বিক্রি করে ভাল আয় করার স্বপন দেখেন।আমরা উনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্বার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বিদায় নিই।

আশা করা যায়, নিকট ভবিষ্যতে খামারী সফলতার মুখ দেখতে পাবে।আর দুঃখ গুছিয়ে উনার ঘরেও বইবে সুখের হাওয়া।জুড়াবে প্রাণ।
রাঙ্গামাটিতে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ, ২০১৮ উদযাপন
রাঙ্গামাটি জেলা এবং সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের উদ্যেগে নানা কার্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ,২০১৮।রাঙ্গামাটি জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে স্থানীয় খামারী,খাদ্য বিক্রেতা,ঔষধ বিক্রয় প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সতেজফুর্ত অংশগ্রহনে সমগ্র আয়োজন প্রানবন্ত হয়ে উঠে।সমগ্র আয়োজনকে প্রানবন্ত করে রেখেছিল সর্বস্তরের খামারীদের প্রানবন্ত উপস্থিতি।


সপ্তাহের শুরুতে সাজ-সাজ রবে শুরু হয় বর্নীল আলোক সজ্জা।রং বেরঙ এর জোনাকী বতিসহ হরেক রকমের আলোক সজ্জায় সজ্জিত হয় রাঙামাটি প্রাণিসম্পদ বিভাগের প্রতিটি অফিস।সন্ধ্যা নামলেই যা পথচারীকে মূহুর্তের জন্য হলেও থামিয়ে দেয়।
কার্যক্রমের সূচনা হয় র্যালীর মাধ্যমে।রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব বৃষ কেতু চাকমা এবং সম্মানিত সদস্য সুবীর চাকমা এই র্যালীর নেতৃত্ব দেন।র্যালীতে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিলার,খামারীসহ প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ।
র্যালী শেষে পায়রা উড়িয়ে সম্মানিত চেয়ারম্যান মহোদয় রাঙ্গামাটি জেলার “প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ-২০১৮” এর শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন।
র্যালী পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি রাংগামাটি জেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব বৃষ কেতু চাকমা মহোদয় রাঙ্গামাটি জেলার প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে সকলকে এক যোগে কাজ করার আহ্ববান জানান।
অনুষ্ঠানে খামারীদের মাঝে বিনামূল্যে স্প্রে মেশীন বিতরন করা হয়

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের অন্যতম আকর্ষন ছিল প্রাণিসম্পদ মেলা।আলোচনা সভা শেষে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ মেলার সকল স্টল ঘুরে দেখেন।মেলায় আগত বাজিগর পাখি,ঘুঘু,টার্কি,উন্নত জাতের গরু মেলার দর্শকদের আকর্ষন করে বেশি।
এই মহা সমারোহের বিশাল অংশ জুড়ে ছিল “স্কুল ফিডিং” ।এই কাজের অংশ হিসেব তিনটী স্কুলে কার্যক্রম পরিচালিত হয় ।
রাঙামাটি প্রতিবন্ধী স্কুলে আয়োজিত “স্কুল ফিডিং” অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃসুমনী আক্তার ছাত্রছাত্রীদের হাতে ডিম তুলে দিয়ে এ কার্যক্রম সূচনা করেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ আলোচনা মাধ্যমে ডিম ,দুধ ও মাংসের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
স্কুল ফিডিং এর অন্য একটি ইভেন্ট পরিচালির হয় “রাঙ্গামাটি শিশু নিকেতনে”।ঐ সময় বিভিন্ন কুইজের মাধ্যমে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ডিম,দুধ ও মাংসের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়। সবশেষে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ডিম।
তৃতীয় স্কুল ফিডিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়,”ঝগড়া বিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে” ।এই সময় ছাত্রছাত্রীদের মাঝে খেলার ছলে প্রানিজ আমিষের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।আর ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ডিম বিতরনের মাধ্যমে এই কার্যক্রম সমাপ্ত হয়।
মাঠ পর্যায়ের খামারীদের এ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে মাঠ পর্যায়ে দুইটি ইউনিয়নে “বিনামূল্যে প্রাণিসম্পদ স্বাস্থ্যসেবা” প্রদান করা হয়।
তান্মধ্যে একটি হল সাপছড়ি এলাকার প্রাণিস্বাস্থ্য সেবা উপকেন্দ্রে।স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান,হেডম্যান সহ অন্যান্য গন্যমান্য ব্যক্তি এবং খামারীদের উপস্থিতি উক্ত অনুষ্ঠানকে সফল করে তুলে।
তাছাড়া জীবতলী চেয়াম্যান পাড়ায় অন্য আরেকটি সেবা কেন্দ্র পরিচালনা করে হয়।সেখানেও খামারীদের পশু পাখিকে বিনামূল্যে ভেক্সিন,কৃমিনাশক সহ অন্যান প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান করা হয়।
এরকম আনন্দ ঘন বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় রাঙ্গামাটি জেলার জেলা এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের প্রাণীসম্পদ বিভাগের “প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ-২০১৮।
গাভীর ঘরের পরিমাপ
খাদ্য সরবরাহের রাস্তা | : | ৪ ফুট (১.২ মিটার) প্রশস্ত |
খাদ্য প্রদানের ম্যানজার | : | ২ ফুট(০.৬মিটার) |
গাভী দাঁড়ানোর স্থানে | : | 5 ফুট (১.৫ মিটার) |
প্রতি গাভী দাঁড়ানোর প্রশস্ততা | : | ৩ ফুট ( ০.৯ মিটার) |
ড্রেন বা নর্দমা প্রতিটি | : | ১ ফুট (০.৩ মিটার) |
ঘরের উচ্চতা | : | ৮ ফুট(২.৪ মিটার) |