বাচ্চা তুলার আগে নিশ্চিত হতে হবে আপনার খামারটি সম্পূর্নভাবে বাচ্চা তোলার জন্য প্রস্তুত।এরপর সুবিধা জনক সময়ে সুবিধাজনক দামে বাচ্চা খামারে নিয়ে আসবেন।খামারে আনার পর যত দ্রুত সম্ভব বাচ্চা লিটারে ছেড়ে দিতে হবে।তবে তার খেয়াল করতে হবে বাচ্চা ছাড়ার আগে পানির পাত্র বসানো হয়েছে কিনা! আর পানির তাপমাত্রাটা হওয়া চাই স্বাভাবিক।অধিক ঠান্ডা বা অধিক গরম পানি বাচ্চা জন্য ভয়ংকর ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।
মনে রাখবেন যে লোক বাচ্চা নিয়ে যে যেন খামারে না ডুকে।কারন তার মাধ্যমে হাজার হাজার জীবানু খামারের মধ্যে ডুকতে পারে যা আপনার খামারের বারটা বাজানোর জন্য যতেষ্ঠ।তাই বাচ্চা আনার আগেই ঠিক করে নিতে হবে কে বাচ্চা আনবে আর কে খামারের ভিতরে থাকবে।
বাচ্চা গ্রহনের সময় বাক্সের মধ্যে মৃত বাচ্চার সংখ্যা হিসাব করে নিতে হবে।আর সেটা রেজিষ্টারে লিখে রাখতে পারেন।আর সেই সংখ্যা যদি বেশি হয় তাহলে কি করতে হবে তা আমার চেয়ে আপনারা ভাল জানেন।
বাচ্চা ছেরে দেওয়ার পর তাদের আচরন ও গুনাগুন ভালভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।সাধারনত বাচ্চা ছাড়ার একটু পর থেকেই ছোটা ছুটি শুরু করে দেয় আর একি স্বরে চিঁ চিঁ শব্দ করে।এটাই স্বাভাবিক।যদি দেখেন মুরগী আলাদা আলাদা স্থানে দল পাকাচ্ছে তাহলে বুঝবেন তারা পনার ক্ষতির চক্রান্ত করছে।তারা যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা সবাই এক সাথে অসুস্থ হয়ে পড়বে তাহলে আপনার খবর আছে!তাই কোন ধরনের বিশৃংখলা দেখলেই নিকটস্থ অভিজ্ঞ রেজিষ্টার্ড পোল্ট্রি চিকিতসকের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিতে হবে।আর না নিলে ২-৩ দিনের মধ্যে বুঝতে পারবেন কি ঘটবে।দায়িত্ব আপনার।
আরো জানতে নিচের লিংকগুলোতে ক্লিক করতে পারেন
১। পর্ব-১ঃ আপনি কি ভাবছেন ব্রয়লার খামার করবেন?
২। পর্ব-২ঃ প্রতি ব্যাচে মুরগীতে কত খরচ হতে পারে?
৩।পর্ব-৩ঃ প্রতি মুরগীর জন্য কত জায়গা প্রয়োজন?(গ্রীষ্ককাল)
৪।পর্ব-৪ঃ প্রতি মুরগীর জন্য কত জায়গা প্রয়োজন?(শীতকাল)
৫। পর্ব-৫ঃ মুরগী তোলার আগের প্রস্তুতি
৬। পর্ব-৬ঃ প্রথম বাচ্চা গ্রহনের পর করনীয়