১। ক্ষুরা রোগের টিকা
এই টিকা ৪ মাসের উপরের বয়সের যেকোন পশূকে প্রয়োগ করা যায়।ট্রাইভেলেন্ট টিকাটি গরুকে ৬ মিলি চামড়ার নীচে প্রয়োগ করতে হয়।প্রথম প্রয়োগের ২১ দিন পর বুষ্টার ডোজ দিতে হবে ।এরপর ৪ মাস পর পর এই টিকা প্রয়োগ করতে হবে। (বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন)
২।এন্থ্রাক্স/তড়কা টিকাঃ
এই টিকা গরুকে প্রয়োগ করতে হয় ১ মিলি করে চামড়া নীচে।আর এই টিকা প্রয়োগ করলে এক বছর পর্যন্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যকর থাকে তাই প্রতি বছরে ১ বার এই টিকা প্রয়োগ করতে হয়।(বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন)
৩।বাদলা টিকাঃ
এই টিকা প্রতি গরুকে ৫ মিলি করে গলা বা ঘাড়ের ঢিলা চামড়ার নিচে দিতে হয়।একবার দিলে মোটামুটি ৬ মা পর্যন্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যকর থাকে।তবে প্রথম ডোজ দেওয়ার পর যদি ৪ সপ্তাহ পর ২য় ডোজ দেওয়া যায় তাহলে পরবর্তীতে ১ বছর অন্তর অন্তর এই টিকা প্রয়োগ করলে হবে।(বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন)
৪।গলাফুলা টিকাঃ
সাধারনত প্রাপ্ত বয়স্ক (২ বছরের উপর) গরুকে এই টিকা প্রয়োগ করা যায়।এই টিকা দুই ধরনের।একটি হল অয়েল এডজুভেন্ট যা গরুকে ২ মিলি চামড়ার নিচে প্রয়োগ করতে হয়।আর অন্যটি হল এলাম অধঃপতিত যা প্রতি গরুকে ৫ মিলি চামড়ার নীচে প্রয়োগ করতে হয়।(বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন)
৫।ম্যাস্টাইটিস টিকাঃ
সরকারীভাবে এই টিকা পাওয়া যায় না।তবে বেসরকারীভাবে এই টিকা পাওয়া যায়।সংশ্লিষ্ট কোম্পানীর নির্দেশনা মোতাবেক এই টিকা ব্যবহার করা যেতে পারে।
৬।জলাতংক টীকাঃ
জলাতংক হল একটি জীবনঘাতী রোগ যা জলাতংক রোগে আক্রান্ত কুকুরের এবং আরো কিছু প্রাণির কামড়ে হতে পারে।সরকারীভাবে যে টিকা পাওয়া যায় তা কুকুর কামড় দেওয়ার আগে প্রয়োগ করতে হয়।তবে বেসরকারীভাবে কিছু টিকা পাওয়া যায় যা কুকুর কামড়ানোর পরে ব্যবহারের জন্য বলা হয়।সরকারীভাবে যেটা টিকাটি কুকুর কামড়ানোর পূর্বে প্রয়োগ করা হয় তার ডোজ হল ৩ মিলি মাংসে।৩০ দিন পর বুষ্টার ডোজ দিয়ে এরপর প্রতিবছরে একবার করে প্রয়োগ করতে হয়।