হাঁস-মুরগীর কলেরা রোগ কি?
এটি গৃহপালিত এবং বন্য পাখির একটি মারাত্মক ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ।এ রোগে আক্রান্ত হলে হাঁস-মুরগি হলুদ ডাইরিয়া এ রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
প্রস্তুত প্রনালীঃ (বিশেষজ্ঞদের জন্য)
এই টিকা মাষ্টার সীডটি প্রাণিসম্পদ গবেষনা প্রতিষ্ঠা,মহাখালী তৈরী করেছেন লোকাল স্ট্রেইন থেকে।দেশে দু’ধরনের ফাউল কলেরা টিকা উৎপাদিত হয়।উভয় ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে ফাউল কলেরায় আক্রান্ত মুরগি থেকে সংগৃহীত নমুনা হতে প্রাপ্ত পাস্তুরেলা মাল্টোসিডা টাইপ –এ (Pasteurella multocida type-A) জীবানুকে কালচার করে হিম শুষ্ক অবস্থায় মাস্টার সীড হিসেবে সংরক্ষন করা হয়।এই মাস্টার সীডকে বিভিন্ন ব্যাক্টেরিওলোজিক্যাল মিডীয়ায় কালচার করে সংখ্যায় বহুগুন বৃদ্ধি করা হয়।যখন সর্বশেষ কালচারে প্রতি মিলি তে ১০১০ সংখ্যক ব্যাক্টেরিয়া পাওয়া যায় তখন ফরমালিন প্রয়োগ করে এই জীবানু মেরে ফেলা হয়।এ কালচারের সঙ্গে তেল(তরল প্যারাফিন) ও ইমালসিফায়ার (আরলেসেল-৮০ ও টুইন-৮০) যোগ করে মহাখালিস্থ গবেষনাগারে অয়েল এডজুভেন্ট টিকা তৈরি করা হয় এবং কুমিল্লা এই কালচার এলাম দ্বারা অধঃপতিত করে টিকা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
সংরক্ষনঃ
৪˙ থেকে ৮˙ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এই টিকা ৬ মাস সংরক্ষন করা যায়।
ব্যবহার বিধিঃ
১) অয়েল এডজুভেন্ট টিকা হাসঁ-মুরগীকে ১ মিলি চামড়ার নীচে প্রয়োগ করতে হবে।প্রথম টিকা প্রয়োগের ১৫ দিন পর বুষ্টার ডোজ প্রয়োগ করতে হবে।এরপর ৬ মাস পরপর এই টিকা দিতে হবে।
২)এলাম অধঃপতিত টিকা হাঁস-মুরগীকে ১ মিলি মাংসে প্রয়োগ করতে হবে।এই টিকাও ৬ মাস পর পর প্রয়োগ করতে হবে।
৩) অয়েল এডজুভেন্ট ও এলাম অধঃপতিত উভয় ধরনের টিকা মাঠ পর্যায়ে ব্যবহৃত হয়।কিন্তু দুধরনের টিকার প্রয়োগ স্থান ভিন্ন।ওয়েল এডজুভেন্ট টিকায় তেল থাকে বিধায় মাংসপেশীতে প্রয়োগ করলে মাংসপেশী নষ্ট হয়ে যেতে পারে।হাঁশ-মুরগী খোঁড়া হয়ে যেতে পারে।এছাড়া অল্প বয়স্ক হাসঁ-মুরগীতে (২ মাস বয়সের নীচে) প্রয়োগ করলে অনেক ক্ষেত্রে বিরুপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
৪)এই টিকা কিছুতেই বরফায়িত করা বা শূন্য ডিগ্রী (০˙) সেলসিয়াস বা তার নীচের তাপমাত্রায় সংরক্ষন করা সম্পূর্ন নিষিদ্ধ।
প্রয়োগের বয়সঃ
সাধারন্ত ২ মাস বা তদুর্ধ বয়সী হাঁস-মুরগীকে এই টিকা প্রয়োগ করা হয়।
সরবরাহঃ
প্রতি ভায়ালে ১০০ মাত্রা টিকা থাকে।
মূল্যঃ
প্রতি ভায়ালের মূল্য ৩০.০০ টাকা