মুরগির রানীক্ষেত রোগ কি?
মোরগ-মুরগীর রানীক্ষেত রোগ একটি মারাত্মক ভাইরাস ঘটিত রোগ।এ রোগের জীবানু আক্রান্ত বাচ্চা মোরগ-মুরগীর শ্বাসতন্ত্র,পরিপাকতন্ত্র এবং স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত করে বৈশিষ্ট্যপূর্ন লক্ষন প্রকাশ করে।পরিপাকতন্ত্র আক্রান্তের ফলে মোরগ-মুরগী সাদা চুনের ন্যায় পায়খানা অথবা সবুজ বর্নের পাতলা মল ত্যাগ করে।
মোরগ-মুরগীকে কি কি টিকা,কিভাবে প্রয়োগ করতে হবে?
প্রস্তুত প্রনালীঃ(বিশেষজ্ঞদের জন্য)
এই টিকার মাষ্টার সীড তৈরি করে এফ,এ,ও মুক্তেসর এম স্ট্রেইন দিয়ে।পরবর্তীতে মহাখালীস্থ প্রাণিসপদ গবেষনা প্রতিষ্ঠান এই ষ্ট্রেইন থেকে বড় মুরগীর রানীক্ষেত টিকা(RDV) তৈরি করে থাকে।এফ,এ,ও থেকে প্রাপ্ত মাস্টার সীড থেকে ওয়ার্কিং সীড তৈরি করা হয়।যাহা দ্বারা ভাইরাস ফ্লুইড তৈরি করা হয়।এই ভাইরাস ফ্লুইড ছেঁকে এর সংগে চর্বিবিহীন গুড়ো দুধ এর ষ্টক সলিউশোন তৈরি করে তা হিমশুষ্ক করে টিকা তৈরি করা হয়।
সংরক্ষনঃ
এই টিকার গুনগত মান – ২০ ˙ সেঃ তাপমাত্রায় ১ বছরের অধিককাল পর্যন্ত সম্পূর্ন অক্ষুন্ন থাকে।তাছাড়া -৫˙ সেঃ তাপমাত্রায় ৬ মাস এবং ৪ ˙সেঃ থেকে ৮ ˙সেঃ তাপমাত্রায় ৪ মাস পর্যন্ত গুনগত্মান অক্ষুন্ন থাকে।বরফসহ থার্মোফ্লাক্সে ১৫ দিন পর্যন্ত সংরক্ষন করা যায়।
মিশ্রনের নিয়মঃ
১) প্রতি ভায়ালে ০.৩ মিলি মূল টিকা হিমশুষ্ক অবস্থায় থাকে।প্রতি ভায়ালে ১০০ মাত্রা টিকা থাকে।
২) টিকা প্রয়োগের জন্য জীবানুমুক্ত ও পরিষ্কার ঢাকনা যুক্ত পাত্র,সিরিঞ্জ নিডল ও পরিশ্রুত পানি প্রয়োজন।প্রথমে পরিষ্কার পাত্রে ১০০ মিলি পরিশ্রুত পানি মেপে নিতে হবে।তারপর সিরিঞ্জের সাহায্য ১০০ মিলি থেকে ২ মিলি মেপে নিয়ে ভায়ালে ডুকিয়ে দিতে হবে।ভায়েলটি আস্তে আস্তে ঝাঁকিয়ে টিকাটি ভালঅভাবে মিশ্রিত করতে হবে।তারপর উক্ত মিশ্রনটি পাত্রের অবশিষ্ট পরিশ্রুত পানির সাথে মিশ্রিত করতে হবে।মিশ্রিনটি যাতে ভালভাবে হয় সে জন্য পাত্রের মুখে ঢাকলা লাগিয়ে ভাল ভাবে ঝাকিয়ে নিতে হবে।
ডোজঃ
এই মিশ্রন থেকে ১ মিলি করে সিরিঞ্জ নিয়ে পাখির মায়ের মাংসে ধীরে ধীরে প্রয়োগ করতে হবে।
বয়সঃ
২ মাস বা ততোধিক বয়স্ক মোরগ-মুরগিকে এই টিকা দেওয়া যাবে।
কতদিন পর কার্যকর হয়?
সাধারনত টিকা প্রয়োগের ১ সপ্তাহের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মে।
কতদিন পর পর দিবেন?
এই টিকা প্রয়োগের পর ৬ মাস পর্যন্ত প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় থাকে।তাই প্রতি ৬ মাস অন্তর অন্তর এই টিকা প্রয়োগ করতে হবে।
সরবরাহঃ
প্রতি ভায়ালে ১০০ মাত্রা টিকা থাকে।
মূল্যঃ
প্রতি ভায়াল ১৫.০০ টাকা।