লাম্পি স্কিন ডিজিজ(এল,এস,ডি) একটি ভাইরাস ঘটিত রোগ যা মুলত গৃহপালিত গরু এবং মহিষকে আক্রান্ত করে।পশুর গায়ে ফোসকা দেখে প্রাথমিক ভাবে এই রোগ সনাক্ত করা হয়।লাম্পি স্কিন ডিজিজ ছড়িয়ে পড়লে গরু পালনের সাথে জড়িত সকলে কম বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।বিশেষ করে প্রান্তিক খামারীরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।এই রোগের ফলশ্রুতিতে গরু থেকে মাংস উৎপাদন এবংদুধ উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।দীর্ঘ স্থায়ী সমস্যা হিসেবে আসে গর্বপাত এবং অনুর্বরতার মত বিষয়গুলো।
কার কারনে হয়?
লাম্পি স্কিন ডিজিজ মুলত একটি ভাইরাস গঠিত রোগ যা লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাস (LSDV) নামক ভাইরাসের কারনে হয়।ভেড়ার এবং ছাগলের পক্স ভাইরাসের সাথে রয়েছে তার দারুন মিল।
কোন কোন প্রাণিতে হতে পারে?
লাম্পি স্কিন ডিজিজ নির্দিষ্ট পোষকের দেহে আক্রমন করে।এই পোষকের মধ্যে আছে গরু এবং এশিয়ান মহিষ (Bubalus bubalis)। তবে মহিষে আক্রান্ত হওয়ার হার খুব কম।কিন্তু গরুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিটা বেশি।আশার কথা হল, লাম্পি স্কিন ডিজিজ মানুষকে আক্রান্ত করে না।
কিভাব ছড়ায়?
লাম্পি স্কিন ডিজিজ ছড়ানোর প্রধান কারন হতে পারে এক খামার থেকে অন্য খামারে,এক স্থান থেকে অন্য স্থানে এমন কি এক দেশ থেকে অন্য দেশে গরু নিয়ে যাওয়া। মুলত এই গরু স্থানান্তরের মাধ্যমে অনেক দূর পর্যন্ত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর মশা,মাছির মাধ্যমে কাছাকাছি স্থানগুলোতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।মূলত যে মশা,মাছি গুলো পোষকের দেহ থেকে রক্ত পান করে তারা এই কাজটি করে থাকে। এক এক এলাকায় একেক ধরনের বাহকের মাধ্যমে এই রোগ ছড়াতে পারে।তবে এই রোগের ভাইরাসটি সাধারনত এই সব বাহকের শরীরে বংশ বিস্তার করে না।সাধারনত কিছু মাছি (যেমনঃStomoxys calcitrans), মশা(Aedes aegypti), আঠাঁলি (Rhipicephalus and Amblyomma spp) এই ভাইরাস ছড়াতে পারে।
সাধারনত সরাসরি স্পর্শের কারনের এই রোগ ছড়ায় না,তবে মাঝে মধ্যে হতে পারে।পশু আক্রান্ত হওয়ার পর ভাইরাস রক্তে ছড়িয়ে পড়তে পারে তবে তা অল্প কয়েকদিন থাকে।কিন্তু কিছু কিছু পশুতে এই রোগের সংক্রমন মারাত্মক হলে এই অবস্থা দুই সপ্তাহও থাকতে পারে।যে সমস্ত পশুর চামড়ায় ক্ষত দেখা যায় এবং নাক মুখ দিয়ে লালা ঝড়ে তার মাধ্যমে পশূর সামনের খাবার এবং পানি সংক্রমিত হতে পারে।
অসুস্থ পশুর শরীর থেকে যখন ফোসকাগুলো খসে পড়ে তখন সেখানে যে ভাইরাস থাকে তা নতুন করে রোগ তৈরি করার সামর্থ্য রাখে।অসুস্থ ষাড়ের বীর্যেও এই ভাইরাস থাকতে পারে।তাই এই ষাড় দিয়ে যদি প্রজনন করানো হয় হয় তাহলে গাভীটিও আক্রান্ত হতে পারে।অসুস্থ গাভী থেকে দুধের মাধ্যমে অথবা ওলানের বাটের ক্ষতের মাধ্যমে দুধ খাওয়া বাচুরকে আক্রান্ত করতে পারে।
আক্রান্ত পশুতে ব্যবহৃত নিডল যদি অন্য সুস্থ পশুতে পুশ করা হয় সেক্ষেত্রেও এই রোগ ছড়ানোর একটা সম্ভাবনা থাকে।
এই রোগে কি কি লক্ষন দেখা যায়?
শরীরে প্রবেশ করার চার থেকে সাত দিনের মধ্যে এই রোগের লক্ষন প্রকাশ পায় আক্রান্ত পশুর শরীরে।এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর নিম্ন লিখিত লক্ষনগুলো প্রকাশ পায়—-
১। সাধারনত প্রথমে যা দেখা যায় তা হল নাক এবং চোখ দিয়ে পানি পড়ে।
২।শরীরের কিছু কিছু স্থানে লসিকা গ্রন্থিগুলো ফুলে উঠে যা সহজে অনুভব করা যায়।
৩। খুব বেশি জ্বর থাকতে পারে।যা টানা এক সপ্তাহও হতে পারে।
৪।দুগ্ধবতী গাভীর হঠাৎ করে দুধ উৎপাদন কমে যায়।
৫।শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুটি দেখা দেয়।এটি দেখলে আর সন্দেহের তেমন অবকাশ থাকে না যে এটা লাম্পি স্কিন ডিজিজ।এই গুটিগুলোর ব্যাসার্ধ ১০ – ১৫ মিলি মিটার পর্যন্ত হতে পারে।তবে এই গুটির পরিমান কম বেশি হতে পারে।কম আক্রান্ত পশুর শরীরে কম গুটি থাকে কিন্তু বেশি আক্রান্ত পশুর সারা শরীর ঢেকে যায় এই গুটিতে। মুখে, গলায়, তলপেটে, ওলানে এবং পায়ে এই গুটি এবং ক্ষত বেশি দেখা যায়।এই গুটিগুলো ভিতরের দিকে প্রথমে চামড়া থেকে শুরু করে পরবর্তীতে সাবকিউটেনিয়াস স্থরে এমনকি চামড়া নীচে মাংস পেশীতেও পৌঁছে যেতে পারে।মুখের বা নাকের ভিতরে যেই গুটিগুলো উঠে সেগুলো ফেটে গিয়ে ক্ষত হতে পারে।যেখানে দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজও হতে পারে।এই সময় নাক মুখ দিয়ে তরল ঝড়তে পারে যেখানে খুব বেশি পরিমানে লাম্পি স্কিন ডিজিজের জীবানু থাকতে পারে।সাধারনত যে গুটি উঠে তার মাঝখানে ঘা হতে পারে যা পরবর্তীতে খোসা আকারে উঠে আসে।চামড়ার এই গুটিগুলো অনেক সময় কয়েক মাসও থেকে যেতে পারে।মাঝে মধে দেখা যায় দুই চোখের কর্নিয়াতে ঘাঁ হতে পারে যাতে খুব ব্যাথা থাকে।পায়ে বা হাঁটুতে যে ক্ষত হয় তা অনেক সময় ২য় পর্যায়ের ব্যাকটেরিয়াল ইকফেকশনের কারনে চামড়ার নীচে গভীর ক্ষত তৈরি করতে পারে ।যার ফলে পশূ খোড়াঁতে শুরু করে।
পোষ্টমর্টেম করলে পরিপাক তন্ত্র এবং শ্বসন তন্ত্রের বিভিন্ন স্থানে পক্সের মত ক্ষত চিহ্ন দেখা যায়।
একই লক্ষনের অন্যান্য রোগ থেকে কিভাবে আলাদা করবেন?
কোন পশু যখন এল,এস,ডি দ্বারা মারাত্মক ভাবে আক্রান্ত হয়ে যায় তখন তাকে সহজে সনাক্ত করা যায়।কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে অন্যান্য সমজাতীয় রোগ থেকে আলাদা করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় নিশ্চিত হওয়ার জন্য ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষা করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে।সেই ক্ষেত্রে সন্দেহজনক পশুগুলো থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর পদ্ধতিতে নিশ্চিত ভাবে এই রোগ নিশ্চিতভাবে নির্নয় করা হয়।যেসমস্ত রোগের লক্ষঙ্গুলো এল,এস,ডির সাথে সাদৃশ্যপূর্ন নিম্নে সেরকম কিছু রোগ নিয়ে আলোচনা করা হল।
১।সিউডো লাম্পি স্কিন ডিজিজ/ বোবাইন হারপিস ম্যামিলাইটিস (Bovine herpes virus 2) রোগের ফলে চামড়ায় যে লক্ষন হয় তা অনেক সময় লাম্পি স্কিন ডিজিজের সাথে একই রকম মনে হতে পারে।তবে এই রোগের ক্ষেত্রে ক্ষতটি চামড়ার বেশি ভিতরে প্রবেশ করে না এবং এই রোগটির স্থায়িতে লাম্পি স্কিন ডিজিজের চেয়ে অনেক কম এবং তীব্রতাও অনেক কম।
২।সিউডো কাউপক্স (Parapoxvirus) ভাইরাসের সংক্রমনে যে লক্ষন দেখা যায় তাও লাম্পি স্কিন ডিজিজের সাথে সাদৃশ্যপূর্ন ।কিন্তু সিউডো কাউপক্সের ক্ষেত্রে শুধু মাত্র পশুর ওলানে এবং বাটে বৈশিষ্ট্যপূর্ন লক্ষন দেখা যায়।
৩।পোকা মাকরের কামড়, ছুলি/আমবাত এবং আলোক সংবেদনশীলতার কারনে চামড়ায় যে লক্ষন দেখা যায় তা অনেক সময় লাম্পি স্কিন ডিজিজের সাথে মিল থাকতে পারে।তবে এই ক্ষেত্রেও ক্ষত তেমন গভীর হয় না।এই রোগের তীব্রতাও অনেক কম যা এল,এস,ডির চেয়ে অনেক কম সময়ে সেরে যায়।
৪।ডার্মাটোফিলোসিস হলেও চামড়ায় ক্ষত দেখা যেতে পারে তবে সেটা ঘাঁ হয় না ।
৫। ডেমোডিকোসিস হলে সাধারনত গলায় এবং তলপেটের চামড়ায় ক্ষত থাকে।আর এই রোগে শরীরের পশম পড়ে যায়।এই রোগের চামড়া থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করলে মাইট পাওয়া যায়।
৬। বোবাইন পেপুলার স্টোমাটাইটিস (Parapoxvirus) এর ক্ষত শুধ মাত্র মুখের ঝিল্লীতে দেখা যায়।
৭। বেসনয়টিওসিস হলে স্ক্লেরাল কঞ্জাংক্টিভা এবং চামড়ার যে ক্ষত হয় সেখানে লোম পড়ে যায়।
খামারে লাম্পি স্কিন ডিজিজ সন্দেহ হলে কি করতে হবে?
খামারে লাম্পি স্কিন ডিজিজ সন্দেহ হলে দ্রুততম সময়ে নিকটস্থ প্রাণিসম্পদ দপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে।যাতে দ্রুত সময়ে রোগ নিরুপন সম্ভব হয়।যদি সম্ভব হয় তাহলে যে বা যেসমস্ত পশুকে অসুস্থ মনে হচ্ছে তাদেরকে অন্যান্য সুস্থ পশু থেকে আলাদ করতে হবে।এই অসুস্থ পশুর সংস্পর্শে যাতে অন্য কেউ যেতে না পারে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।তাছাড়া অন্যন্য সুস্থ পশুগুলোকে পরীক্ষা করতে হবে ।যে ব্যক্তি এই অবস্থায় খামারে যাবে বা খামার থেকে বের হবে তার হাত, পা এবং অন্যন্যা ব্যবহৃত দ্রব্যাদি জীবানুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।যেই খামারের পশু আক্রান্ত হয়েছে এবং তার পার্শবর্তী খামারসমূহে মাছি নিয়ন্ত্রনে ব্যবস্থা নিতে হবে।
লাম্পি স্কিন ডিজিজ নিয়ন্ত্রন ও প্রতিরোধে করনীয়ঃ
এই রোগ প্রতিরোধের জন্য সবচেয়ে ভাল পদক্ষেপ হল টিকা প্রয়োগ।পুরো এলাকা জুড়ে নিয়মিত টিকা প্রয়োগের মধ্যমে এই রোগের প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে পশুর দেহে।দেশের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পশুর চলাচল কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রন করতে হবে । দেশের সীমান্তে গরু পারাপার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রন করতে হবে অথবা বন্ধ করে দিতে হবে।গরুর স্থানান্তরের জন্য ভেটেরিনারি সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে পশুর জন্মস্থান এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিবরন থাকবে।এমনকি টিকা প্রয়োগের পরও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পশুকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেওয়া যাবে না।খামারে নিয়মিত মশা মাছি নিয়ন্ত্রনে ব্যবস্থা নিতে হবে।এতে এই রোগ সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রন করা না গেলে ঝুঁকি অনেক কমানো যাবে।খামার জীবানুমুক্ত করতে হবে।
খামার জীবানুমুক্ত করবেন কিভাবে?
লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাসটি খুব ঠান্ডা এবং শুষ্ক পরিবেশেও টিকে থাকতে পারে যেখানে পি,এইচ ৬.৩ – ৮.৩ । এল,এস, ডি আক্রান্ত পশুর ক্ষতস্থানে, খসে পড়া গুটির খোসায় এই ভাইরাসটি টিকে থাকতে পারে কয়েক মাস।তাই এল,এস,ডি আক্রান্ত খামার,খামারে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি এবং নিযুক্ত লোকজন সহ সবকিছু ভাল করে জীবানুমুক্ত করা প্রয়োজন।যদিও এল,এস,ডি ভাইরাসটি প্রায় সকল জীবানুনাশক এবং ডিটারজেন্টের প্রতি সংবেদনশীল তবু ভাল ভাবে জীবানুমুক্ত করার জন্য খামারের গোবর,খড়কুটো আগেই সরিয়ে নিতে হবে।খামার জ়ীবানুমুক্ত করার জন্য এমন জীবানু নাশক ব্যবহার করতে হবে যাতে তা ভাইরাসের চারপাশে থাকা যেকোন জৈব উপাদান ভেদ করতে পারে।জাতীয় সংঘের খাদ্য এবং কৃষি সংস্থার (FAO) Animal Health Manual on Procedures for Disease Eradication by Stamping Out (FAO,2001) এ খামার জীবানু মুক্ত করার ব্যপারে কিছু ব্যবহারিক নির্দেশনা দিয়েছে।
খামারে কীট পতঙ্গ নিয়ন্ত্রনঃ
খামারে ঠিক মত মশা মাছি নিয়ন্ত্রন করা গেলে এই ভাইরাসে চলাচল অনেকটূকু নিয়ন্ত্রন করা যাবে কিন্তু সম্পুর্ন রুপে এই রোগের প্রতিরোধ করা যাবে না। বিশেষ করে যেখানে পশু ছেড়ে দিয়ে পালন করা হয়।যে সমস্ত খামারে পশুকে সম্পুর্ন রুপে বেঁধে পালন করা হয় সে সমস্ত খামারে মশার উৎপাত কমানোর জন্য মশারি বা নেট ব্যবহার করা যায়।আবার পশুর গায়ে মশা মাছি না বসার জন্য ঔষধ ব্যবহার করে সাময়িকভাবে মশামাছি এবং আঠাঁলি প্রতিরোধ করা যায়।
যখন কীটনাশক ব্যবহার করা হয় তখন খেয়াল রাখতে হবে যেন তার অতিমাত্রায় ব্যবহারের ফলে পরিবেশের ক্ষতি না হয় এবং অন্যান্য উপকারী কীট পতঙ্গ যেন ক্ষতির সম্মুখীন না হয়।কীট পতঙ্গ যেখানে প্রজনন করতে পারে, যেমনঃ জমানো পানি, ময়লা, গোবর ইত্যাদি স্থান ভাল ভাবে পরিষ্কার করলে কীট পতঙ্গের পরিমান কমিয়ে আনা যায়।
বায়োসিকিউরিটিঃ
যে সমস্ত পশুর দেহে এই ভাইরাস আছে কিন্তু কোন রোগের লক্ষন প্রকাশ করে নাই সে সমস্ত পশু খামারে কিনে নিয়ে আসলে ঐ পশুর মাধ্যমে খামারে লাম্পি স্কিন ডিজিজের জীবানু খামারে ঢুকে যেতে পারে।তাই এলাকায় লাম্পি স্কিন ডিজিজ দেখা গেলে খামারে কোন নতুন পশু প্রবেশ না করানোই উত্তম।আর যদি পশু আনতেই হয় তাহলে নির্ভর যোগ্য উৎস্য থেকে সংগ্রহ করা উচিত।আর এই পশু ক্রয় করার আগে ভাল করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত এবং খামারে আনার পরও কমপক্ষে ২৮ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা উচিত।
খামারে দর্শনার্থী প্রবেশ খুব নিয়ন্ত্রিত ভাবে করতে হবে।খামারের প্রয়োজনীয় যেকোন যাবাহন বা দ্রব্যাদি খামারে প্রবেশের পূর্বে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে।
চিকিৎসাঃ
লাম্পি স্কিন ডিজিজ একটি ভাইরাস গঠিত রোগ তাই এর সরাসরি কোন চিকিৎসা নেই।তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমন রোধ করার জন্য লক্ষন দেখে চিকিৎসা প্রয়োগ করতে হয়।এই ক্ষেত্রে একজন অভিজ্ঞ ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
লাম্পি স্কিন ডিজিজে জ্বর এবং গায়ে ব্যাথা থাকলে কিটোপ্রোপেন বা প্যারসিটামল জাতীয় ব্যাথা নাশকগুলো ব্যবহার করা যাতে পারে।রোগ খুব তীব্র হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে।
গুটিগুলো ফেটে গেলে পটাশ বা আয়োডিন সলিউশন দিয়ে ক্ষত স্থান ধুতে হবে নিয়মিত।তাছাড়া ঘা হয়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের সালফার পাউডার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ক্ষত স্থানে ব্যবহার করতে হবে।