পিজিয়ন পক্স রোগ কি?
এটি কবুতর ও বাচ্চা মোরগ-মুরগীর একটি ভাইরস ঘটিত রোগ।সাধারন ঈষৎ হলুদ বর্নের আঁচিল উঠতে পারে মাথা ও ঝুটিতে তবে অনেক সময় মুখ গহ্বর,খাদ্যনালী,শ্বাসনালীতে ক্ষত (ডিপথেরিক লিশন) হতে পারে।
প্রস্তুত প্রনালীঃ
মাঠ পর্যায়ে পিজিয়ন পক্সে আক্রান্ত কবুতর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা ডিমের ভ্রুনে প্যাসেজের মাধ্যমে পিজিয়ন পক্স টিকার মাষ্টার সীড তৈরি করা হয়।সীড ভাইরাসের সঙ্গে স্যালাইন ওয়াটার,এন্টিবায়োটিক ওফাংগিজোন মিশিয়ে ইনোকুলাম তৈরি করা হয়।ইনোকুলাম ১২ দিনের ডিমের ভ্রুনের কোরিও-এলান্টয়িক মেমব্রেনে প্রবেশ করানো হয়। ইনোকুলেটেড ডিম ৩৭˙সে তাপমাত্রায় ৫ দিন ইনকুবেট করার পর যে সমস্ত ডিমে পর্যাপ্ত পরিমানে Pox Lesion পাওয়া যায় সেগুলি সংগ্রহ করা হয়।সংগৃহীত মেমব্রেনগুলিকে গ্রাইন্ডিং ও সিভিলিং করে বা ছেঁকে নিয়ে সংগে চর্বিবিহীন দুধ,এন্টিবায়োটিক ও জৈব রঙ মিশিয়ে ০.৩ মিলি পরিমানে কাঁচের ভায়ালে ফিলিং করা হয়।পরে এই মিশ্রন হিমশুষ্ক করে টিকা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।এই টিকার রঙ লাল এবং ৩ মিলি ভায়ালে সরবরাহ করা হয়।
সংরক্ষনঃ
এই টিকা -২০˙ সেঃ তাপমাত্রায় ন্যূনপক্ষে ১ বছর সংরক্ষন করা যায়।রেফ্রিজারেটরের আইস চেম্বারে -৫˙সে থীকে ০˙ সেঃ তাপমাত্রায় ৬ মাস গুনগত মান বজায় থাকে।
প্রয়োগের বয়সঃ
এই টিকা ৩-৭ দিন বয়সী মুরগিতে ও কবুতরে প্রয়োগ করতে হয়।
ব্যবহার বিধিঃ
১) প্রথমে টিকার ভায়ালে ৩ মিলি পরিস্রুত পানি নিয়ে ভাল করে মিশাতে হবে।এই টিকা প্রয়োগের জন্য বিশেষ ধরনের সুঁচ (Biforked Prickung neeedle) বা বিকল্প হিসাবে ইঞ্জেকশোনের সূর্চের অর্ধাংশ ডুবিয়ে মোরগ-মুরগীর পাখার নীচে দিকে ত্রিকোনাকৃতি মাংস বিহীন চামড়ায় একাধিকবার খুঁচিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
২)এই টিকা একবার (বুস্টার ডোজসহ) প্রয়োগই যতেষ্ট।পুনরায় টিকা প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ে না।এই টিকা আজীবনের জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। মা থেকে মাতৃ এন্টিবডি বাচ্চায় সঞ্চারিত হয়।
সরবরাহঃ
প্রতি ভায়ালে ২০০ মাত্রা টিকা থাকে।
মূল্যঃ
প্রতি ভায়াল ২০.০০ টাকা