Home Blog Page 12

Farmer Hope ব্রয়লার খামার পরিকল্পনা (পর্ব-৫): মুরগী তোলার আগে প্রস্তুত

0


ভাবছেন দুই একদিনের মধ্যে খামারে মুরগী তুলবেন তাহলে আর দেরি কেন এখনি লেগে পরুন খামার প্রস্তুত করার কাজে।ধরেই নিয়েছি আগের ব্যাচের মুরগী বিক্রির পর পরই আপনি খামার পরিষ্কার করে জীবানু মুক্ত করে রেখেছেন।যদি তাই হই তাহলে একবার দেখুন ঘরের ফ্লোরটি ঝকঝকে আছে কিনা।যদি  কোন ধরনের স্যাঁতস্যাতে দেখেন তাহলে তাকে সাথে সাথে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করেন।

চিক গার্ড

বাচ্চা তোলার আগের দিনই খামারের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র সংগ্রহ করে রাখুন।পর্দা আগের দিনই ফেলে রাখতে পারেন।আর লিটার (ভুষি বা তুষ) আগের দিনই বিছিয়ে দিতে পারেন। তবে তার আগে বাচ্চা রাখার জন্য ৩-৩.5 ফুট উচুঁ প্লাষ্টিক বা টিনের বেড়া দিয়ে ঘেরা দিতে হবে ।একে বিজ্ঞানের ভাষায় চিক গার্ড বলে।চিক গার্ড অবশ্যই গোল করে ঘরের মাঝ খানে করে দিতে হবে।প্রতি মুরগীর বাচ্চার জন্য আনুমানিক ০.২ বর্গফুট জায়গা হিসেব করে ঘেরা ভিতরের জায়গা ঠিক করতে হবে।

ব্রুডার

এর পর তাপের জন্য টিনের ছানির দিতে হবে।যার মাঝে নির্দিষ্ট দূরত্বে ছিদ্র থাকবে যে ছিদ্রে বৈদ্যুতিক বাতি লাগাতে হবে।একে আবার একিটু ভাল করে বললে হুবার বলা হয়।এই হুবারটি টিনের তৈরি।এই হুবারের সুবিধা হল এটি ব্যবহারের ফলে সদস্য মা বাপ ছেড়ে আসে বাচ্চাগুলো এটার নীচে বসে মায়ের কোলের উষ্ণতা নেয়।

    থার্মোমিটার

 

এর পর আপনি তাপমাত্রা ঠিক করেন।প্রথম দিন মুরগীর ঘরের তাপমাত্রা কোণভবেই ৯৫● ফারেনহাইট এর কম করা যাবে না।আর এটা মাপার জন্য আপনার কিন্তু একটা থার্মোমিটার চাই।এর নাম হল রুম থার্মোমিটার।এই থার্মোমিটারের ডান পাশে এই মান লেখা থাকে।এম্বার কোন রকমে শিখতে পারলে আর ভুলার কোন চান্স নাই।

ঘরে মুরগী তোলার কমপক্ষে ছয় ঘন্টা আগে ঘরের তাপমাত্রা ৯৫●ফারেনহাইট করে রাখতে হবে।যাতে মুরগী আসার সাথে সাথে সে তার কাংখিত তাপমাত্রা পাই।

আর চিন্তা নাই,আপনার খামার মোটামুটি প্রস্তুত মুরগী তোলার জন্য।আপনি নিশ্চিন্ত মনে এবার মুরগী তুলতে পারেন।মুরগী তোলার পর কি ভাবে কি করবে সেটা আগামী পর্বে লিখব।সেই পর্যন্ত www.facebook.com/farmerhope.page এ like দিয়ে সাথেই থাকুন।

 

 

ব্রয়লার খামার পরিকল্পনা (পর্ব-২)ঃপ্রতি ব্যাচে মুরগীতে কত খরচ হতে পারে?

0

যারা ব্রয়লার খামার করার স্বপ্ন দেখছেন তাদের মনে এই প্রশ্নটি ঘুর পাক খেতে থাকে হর হামেশা।তাদের জন্য বলছি, এত ভাবাভাবির কিছু নেই,যদি ভাবেন খামার করবেন তাহলে আর চিন্তা কি! হাতে এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা থাকলেই এক হাজার মুরগীর একটা ব্যাচ করার সাহস আপনি করতেই পারেন।

ধরে নিচ্ছি ঘর আপনার বানানোই আছে।আর যদি নাও থাকে ঘর বানানোর জন্য আপনার খরচ হবে এক বার।বার বার নয়।তবে আপনি মোটামুটি ৬০ – ৭০ হাজার টাকার মধ্যে এক হাজার মুরগীর জন্য একটি ঘর তৈরি করে নিতেই পারেন।খরচ বেশি হলেও তা এক লক্ষ টাকা ক্রস করবে না।প্রয়োজনে মিস্ত্রী ডেকে আলাপ করে নিতে পারেন পূর্বেই।

কেউ কেউ মনে করেন, ব্রয়লার মুরগীর এক দিনের বাচ্চার দাম জোয়ার ভাটার মত উঠা নামা করে।কি চিন্তাই পড়ে গেলেন তো? তবে গড়ে ধরে নিতে পারেন ৩০ – ৫০ টাকা এর মধ্যেই থাকে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া।

আর রেডি মুরগির দাম! সেটাও পরিবর্তনশীল।তবে যেদিকে নৌকা,সেদিকে পাল তুললেই আপনি লাভের নৌকা বাইতে পারবেন।

ব্রয়লার পালন বর্তমানে একটি শিল্প, বিশাল বানিজ্য ক্ষেত্র।এতক্ষন ধরে যখন পোষ্টটি পড়লেন, তাই ধরেই নিচ্ছি আপনি একজন নতুন উদ্যোগতা হতে যাচ্ছেন।হোক না সেটা একশ, পাঁচশ অথবা এক হাজার মুরগী দিয়ে। আপনার একশত মুরগীর খামারই হয়ত একদিন এক লক্ষ মুরগীর খামারে পরিনত হবে।

এখন সিদ্ধান্ত আপনার।ভাবুন,শিখুন,জানুন,তারপর শুরু করুন।সফল আপনি হবেনই হবেন, নিশ্চিত থাকুন।

পরবর্তী পর্বে আপনি খামার সম্পর্কে কি জানতে চান, তা জানিয়ে কমেন্টস করুন অথবা মেসেজ করুন আর www.facebook;.com/farmerhope.page/ এ like দিয়ে সাথেই থাকুন।

ডাঃসুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা(অঃদাঃ)
রাঙ্গামাট সদর

আরো জানতে নিচের লিংকগুলোতে ক্লিক করতে পারেন

১। পর্ব-১ঃ আপনি কি ভাবছেন ব্রয়লার খামার করবেন?

২। পর্ব-২ঃ প্রতি ব্যাচে মুরগীতে কত খরচ হতে পারে?

৩।পর্ব-৩ঃ প্রতি মুরগীর জন্য কত জায়গা   প্রয়োজন?(গ্রীষ্ককাল)

৪।পর্ব-৪ঃ প্রতি মুরগীর জন্য কত জায়গা প্রয়োজন?(শীতকাল)

৫। পর্ব-৫ঃ মুরগী তোলার আগের প্রস্তুতি

৬। পর্ব-৬ঃ প্রথম বাচ্চা গ্রহনের পর করনীয় 

পশু-পাখির খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা

0



মানুষের সুস্বাস্থ্য লাভের জন্য নিরাপদ খাদ্যের কোন বিকল্প নেই।ভেজাল খাদ্য জীবনকেও ভেজাল করে আপনার জীবনের আয়ুকে খামছে ধরে কমাতে থাকবে ।ফলাফল রোগে শোকে অকাল মৃত্যু।যা কারো কাম্য নয়।সবাই চাই সুস্থ সুন্দর জীবন।স্বাস্থ্যকর খাদ্যই সুস্থ সুন্দর জীবনের মুল উৎস।আর এই স্বাস্থ্য কর খাদ্যের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে দুধ, ডিম, মাংসের মত বিষয়গুলো।যা আসে, আপনার খামারে বা আপনার আশে পাশে বেরে উঠা পশু-পাখিগুলো থেকে।তাই এদেরকে যে খাদ্য দেওয়া  হয় তা হওয়া চাই নিরাপদ এবং জনবান্ধন।

পশু খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রনে ২০১০ সালে “মৎস্য ও পশু খাদ্য আইন ২০১০” নামে একটি আইন চালু হয়।এই আইন এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজকে(২১/১১/১৭ খ্রি.) রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পৌর এলাকায় প্রাণিসম্পদ বিভাগ,উপজেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন ও ড্রাগ প্রশাসনের সম্বনিত উদ্যোগে একটি মোবাইল কোর্ট পরচালিত হয়।

উক্ত মোবাইল কোর্টে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি উপজেলার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. সুমনী আক্তার; উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অঃদাঃ) ডা. সুচয়ন চৌধুরী; ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক মো. ইকবাল হোসেন; জেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃদেবরাজ চাকমা সহ অন্যান্যরা।এই কার্যক্রমটি নিরাপদে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে সার্বিক সহযোগিতা করেন পুলিশ প্রশাসন।

মোবাইল কোর্ট চলাকালীন সময়ে খাদ্য বিক্রেতাদের দোকানগুলো পরিদর্শন করা হয়।সাথে সাথে খাদ্যের মান, লেভেলিং সহ বিভিন্ন বিষয় পরীক্ষা করা হয়।তাছাড়া রেজিষ্ট্রার্ড ভেটেরিনারিয়ানের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া যাতে কোন এন্টিবায়োটিক বিক্রি করা না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়।পাশাপাশি বিক্রিত এন্টিবায়োটিকের জন্য রেজিষ্টার রাখারও নির্দেশও প্রদান করা হয়।প্রয়োজনীয় সব ধরনের লাইসেন্স এবং কাগজ-পত্র হালনাগাদ রাখার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়।এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট পশু-পাখির খাদ্য ও ঔষধ বিক্রেতাগন পশুর-পাখির জন্য নিরাপদ খাদ্য ও ঔষধ সরবরাহ সহ যাবতীয় কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে নিরাপদ দুধ,ডিম এবং মাংস উৎপাদনে আন্তরিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

গুরুতর কোন অপরাধ পরিলক্ষিত না হওয়ায় উপস্থিত বিজ্ঞ ম্যাজিষ্টেট কোন বিক্রেতাকে কোন দন্ড প্রদান করেননি।তবে মৎস্য ও পশু খাদ্য আইন ২০১০ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইন ও নিয়ম মেনে চলে পশু-পাখির খাদ্য বিক্রেতাদের ব্যবসা পরিচালনা করে নিরাপরদ প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনে সহযোগিতা করার জন্য কড়া নির্দেশ দেন।

আশা করা যায়, এ ধরনের কার্যক্রম রাঙ্গামাটি বাসী তথা সর্ব সাধারনের জন্য নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনে ব্যাপক ভুমিকা রাখবে।

ডেইরী খামার বিষয়ক ফ্রি প্রশিক্ষন

0



আগামী কাল যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর,রাঙ্গামাটি পৌরসভার উদ্যোগে রাঙ্গামাটি পৌরসভার এডিসি কলোনী এলাকার পৌর জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ে বিকাল তিন ঘটিকায় সময় ডেইরী খামার বিষয়ক একটি প্রশিক্ষনের আয়োজন করা হয়েছে।উক্ত প্রশিক্ষন পরিচালনা করবেন রাঙ্গামাটী সদর উপজেলার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অঃদাঃ) ডাঃসুচয়ন চৌধুরী।প্রশিক্ষনের সময় হচ্ছে আগামীকাল রোজ মঙ্গলবার (২১/১১/১৭ খ্রি.)  বিকাল তিন ঘটিকার সময়।উক্ত প্রশিক্ষনে অংশ গ্রহনে আগ্রহী যুবক-যুবতীদের রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার যুব উন্নয়ন দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে যথাযথ নিয়ম অনুসরন পূর্বক প্রশিক্ষনে অংশ গ্রহন করতে পারবেন।তবে এ বিষয়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত  বলে গন্য হবে।

রাঙ্গামাটি সদর এলাকায় যে যুব সমাজ ডেইরী খামার করব করব ভাবছে তাদের জন্য এটি একটি দারুন সুযোগ।তাই আগ্রহী রা এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেন।কারন সফল খামারী হতে চাইলে প্রশিক্ষনের কোন বিকল্প নাই।খামার করার আগে খামার সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকলে আপনি সহজে ছোট খাট অনেক সমস্যা উৎরে যেতে পারবেন।

বি আর ডি বি এর আয়োজনে দক্ষতা বৃদ্ধিমুলক প্রশিক্ষন প্রদান

0

 
 
বি আর ডি বি এর আয়োজনে রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি ভুক্ত প্রাথমিক সমিতি/দল এর উপকারভোগী সমবায়ীদের দক্ষতা উন্নয়নে নিয়মিত মাসিক প্রশিক্ষন প্রদানের একটি অংশ………
 
ডাঃসুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা(অঃদাঃ)
রাঙ্গামাটি সদর

কৃষকদের ভূট্টা বীজ বিতরণ

0

 
রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার কৃষি বিভাগের আয়োজনে উক্ত উপজেলার নির্বাচিত খামারীদের ভূট্টা বীজ এবং প্রয়োজনীয় সার বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।
 
উক্ত অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার সম্মানিত উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব অরুন কান্তি চাকমা,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনাব আপ্রু মার্মা এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃসুচয়ন চৌধুরী।

 
ডাঃসুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অঃদাঃ)
রাঙ্গামাটি সদর
error: Content is protected !!