উত্তর খুব সহজ।গরু ডাকে আসলে ডাকাডাকি করবে।তবে সেটা সচরাচর যে ভাবে ডাকে তার চেয়ে ভিন্ন।মুলত গরুর যখন প্রজননের সময় হয় তখন একটু বেশি ডাকাডাকি করে,আপনাকে বুঝিয়ে দিতে চাই তার চাহিদার কথা।
শুধু কি তাই! এ সময় গরু লাফ ঝাপ দিয়ে অন্য গরুর উপর উঠে যেতে চাই।এমনটি কি সে আপনার গায়ের উপর ও ঝাপ দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে।
তিন নম্বর যে লক্ষনটি আপনি দেখতে পাবেন,তা হল প্রস্রাবের রাস্তা যাকে যোনী বলা হয় সে দিকে লালার মত তরল রশির মত লম্বা লাইন ধরে ঝড়তে দেখা যায়।যাকে আমরা মিউকাস বলি।এটি কিছুটা আঠাঁলো টাইপের।
অনেক সময় দেখা যায় লেজের আগায় এই মিউকাস লেখে আছে।যা সহজে দেখা যায়।
গরুর প্রসাবের রাস্তায় অর্থাৎ যোনীর মুখের সে চামড়া যাকে আমরা “লেবিয়া মেজর” বলি তার ভিতরের দিকে গাড় গোলাপী বর্ন হয়ে যায়।আর এই জায়গাটা একটু ফুলে যায় যেটা বাইরে থেকেও বুঝা যায়।
এই সময়টাতে গরু খাওয়া দাওয়াও কমিয়ে দেয়।কিন্তু গরুর মধ্যে অস্থিরতা লক্ষ্য করা যায়।কোন গরু বেশি কোন গরু কম অস্থির।
আর একটা জিনিস লক্ষ্য করবেন,গরু ঘনঘন যোনির মুখ থেকে লেজ সরিয়ে ফেলে।
এ সমস্ত লক্ষনগুলো দেখলে দেরি না করেন নিকটস্ত প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কৃত্রিম প্রজনন কর্মীর সাথে যোগাযোগ করে কৃত্রিম প্রজননের ব্যবস্থা করতে হবে।
ডা:সুচয়ন চৌধুরী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অ:দা:)
রাঙ্গামাটি সদর