সুপ্রিয় খামারি বৃন্দ আজকে আমরা পশুখাদ্য নিয়ে আলোচনা করব। পশু খাদ্যের মূলত দুইটা ভাগ। একটা হল খাদ্যের আঁশ জাতীয় অংশ এবং অন্যটি হলো দানাদার জাতীয় খাদ্য।আঁশ জাতীয় খাদ্যের আবার দুটো ভাগ একটি হল শুষ্ক এবং অন্যটি হলো রসালো। আর এই জাতীয় খাদ্যের মধ্যে থাকে বিভিন্ন প্রকার খড় ঘাস লতাপাতা ইত্যাদি।
আঁশ জাতীয় খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা:
বিপাকীয় কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পাদনের জন্য আঁশ জাতীয় খাদ্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া দেহের তাপ সৃষ্টিতেও আঁশ জাতীয় খাদ্যের ভূমিকা রয়েছে। পশুর বিশাল উদরপূর্তির জন্য আঁশ জাতীয় খাদ্যের কোন বিকল্প নাই। তাছাড়া পশুর কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা এবং হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করা জন্যও আঁশ জাতীয় খাদ্য প্রয়োজন।
আঁশ জাতীয় খাদ্যের প্রকারভেদ
আঁশ জাতীয় খাদ্য দুই প্রকার একটা হল শুষ্ক আঁশ জাতীয় খাদ্য এবং অন্যটি হলো রসালো আঁশ জাতীয় খাদ্য।শুষ্ক আঁশ জাতীয় খাদ্য সাধারণত ১০ থেকে ১৫ ভাগ পানি বা জলীয় অংশ থাকে যেমন বিভিন্ন প্রকার খড় এ জাতীয় খাদ্যের অন্তর্ভুক্ত।
অন্যদিকে রসালো আঁশ জাতীয় খাদ্যে শতকরা ৬০ থেকে ৯০ ভাগ পানি বা জলীয় অংশ থাকে। এই রসালো আঁশ জাতীয় খাদ্যের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কাঁচা ঘাস, গুটি জাতীয় ঘাস যেমন মাসকলাই, খেসারী ইত্যাদি। লতা গুল্ম এবং বিভিন্ন ধরনের গাছের পাতার রসালো খাদ্যের মধ্যে পড়ে।
দানাদার খাদ্য
পশু খাদ্যের গুরুত্বপূর্ন একটা অংশ হলো দানাদার খাদ্য। বিভিন্ন ধরনের শস্য দানা এবং শস্যদানার উপজাত দানাদার খাদ্যের মধ্যে পড়ে। তাছাড়া রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ডাল জাতীয় শস্য দানা এবং শস্যদানার উপজাত যেমন ডালের ভুসি, গমের ভুসি, খৈল, চালের কুড়া ইত্যাদি।
দানাদার খাদ্য কেন?
খাওয়াবেন পশুর শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি সরবরাহ এর জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন দানাদার খাদ্য। তাছাড়া পশুর শরীরে তাপ তৈরি করা,রোগ প্রতিরোধ করা, হাড় গঠন করা, ক্ষয় পূরণ করা, বীর্য তৈরি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য দানাদার খাদ্য একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান।
পুষ্টির উৎস অনুসারে খাদ্য উপকরণ কি কি?
পুষ্টির উৎস অনুযায়ী দানাদার খাদ্য উপকরণ সমূহ বিভিন্ন ভাবে ভাগ করা যায় কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায় সেগুলো নিচে উল্লেখ করলাম।
#আমিষ শ্রেণীভুক্ত খাদ্য উপকরণ
#শর্করা শ্রেণীভূক্ত খাদ্য উপকরণ
#চর্বি জাতীয় খাদ্য উপকরণ
#খনিজ জাতীয় খাদ্য উপকরণ
#ভিটামিন সমৃদ্ধ খাদ্য উপকরণ
আমিষ জাতীয় খাদ্য উপকরণ কি কি?
বিভিন্ন প্রকার তৈল বীজের খৈল, বিভিন্ন প্রকার ডাল ও ডালের ভুসি, শুটকি মাছের গুড়া ইত্যাদি।
জাতীয় খাদ্য উপকরণ
চালের কুড়া ভাঙ্গা, গম ভাঙ্গা, ভুট্টা ভাঙ্গা, কাসাবা, আলু, চিটা গুড় ইত্যাদি।
চর্বি জাতীয় খাদ্য উপকরণ
তিলের খৈল, বাদাম খোসা,খৈল, সয়াবিন ও অন্যান্য বীজের খৈল, তৈল বীজের খৈল ইত্যাদি।
খনিজ জাতীয় দানাদার খাদ্য উপাদান
লবণ, হাড়ের গুড়া ইত্যাদি ভিটামিন সমৃদ্ধ খাদ্য উপকরণ। কাঁচা ঘাস, লতা পাতা, গুল্ম, শাকসবজি, কৃত্রিমভাবে তৈরি বিভিন্ন ভিটামিন ইত্যাদি।