মানুষের সুস্বাস্থ্য লাভের জন্য নিরাপদ খাদ্যের কোন বিকল্প নেই।ভেজাল খাদ্য জীবনকেও ভেজাল করে আপনার জীবনের আয়ুকে খামছে ধরে কমাতে থাকবে ।ফলাফল রোগে শোকে অকাল মৃত্যু।যা কারো কাম্য নয়।সবাই চাই সুস্থ সুন্দর জীবন।স্বাস্থ্যকর খাদ্যই সুস্থ সুন্দর জীবনের মুল উৎস।আর এই স্বাস্থ্য কর খাদ্যের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে দুধ, ডিম, মাংসের মত বিষয়গুলো।যা আসে, আপনার খামারে বা আপনার আশে পাশে বেরে উঠা পশু-পাখিগুলো থেকে।তাই এদেরকে যে খাদ্য দেওয়া হয় তা হওয়া চাই নিরাপদ এবং জনবান্ধন।
পশু খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রনে ২০১০ সালে “মৎস্য ও পশু খাদ্য আইন ২০১০” নামে একটি আইন চালু হয়।এই আইন এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজকে(২১/১১/১৭ খ্রি.) রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পৌর এলাকায় প্রাণিসম্পদ বিভাগ,উপজেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন ও ড্রাগ প্রশাসনের সম্বনিত উদ্যোগে একটি মোবাইল কোর্ট পরচালিত হয়।
উক্ত মোবাইল কোর্টে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি উপজেলার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. সুমনী আক্তার; উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অঃদাঃ) ডা. সুচয়ন চৌধুরী; ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক মো. ইকবাল হোসেন; জেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃদেবরাজ চাকমা সহ অন্যান্যরা।এই কার্যক্রমটি নিরাপদে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে সার্বিক সহযোগিতা করেন পুলিশ প্রশাসন।
মোবাইল কোর্ট চলাকালীন সময়ে খাদ্য বিক্রেতাদের দোকানগুলো পরিদর্শন করা হয়।সাথে সাথে খাদ্যের মান, লেভেলিং সহ বিভিন্ন বিষয় পরীক্ষা করা হয়।তাছাড়া রেজিষ্ট্রার্ড ভেটেরিনারিয়ানের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া যাতে কোন এন্টিবায়োটিক বিক্রি করা না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়।পাশাপাশি বিক্রিত এন্টিবায়োটিকের জন্য রেজিষ্টার রাখারও নির্দেশও প্রদান করা হয়।প্রয়োজনীয় সব ধরনের লাইসেন্স এবং কাগজ-পত্র হালনাগাদ রাখার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়।এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট পশু-পাখির খাদ্য ও ঔষধ বিক্রেতাগন পশুর-পাখির জন্য নিরাপদ খাদ্য ও ঔষধ সরবরাহ সহ যাবতীয় কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে নিরাপদ দুধ,ডিম এবং মাংস উৎপাদনে আন্তরিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
গুরুতর কোন অপরাধ পরিলক্ষিত না হওয়ায় উপস্থিত বিজ্ঞ ম্যাজিষ্টেট কোন বিক্রেতাকে কোন দন্ড প্রদান করেননি।তবে মৎস্য ও পশু খাদ্য আইন ২০১০ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইন ও নিয়ম মেনে চলে পশু-পাখির খাদ্য বিক্রেতাদের ব্যবসা পরিচালনা করে নিরাপরদ প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনে সহযোগিতা করার জন্য কড়া নির্দেশ দেন।
আশা করা যায়, এ ধরনের কার্যক্রম রাঙ্গামাটি বাসী তথা সর্ব সাধারনের জন্য নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনে ব্যাপক ভুমিকা রাখবে।