ব্রয়লার খামারীরা কত টাকা পর্যন্ত ঋন পেতে পারেন?

0
1734

ব্রয়লার খামারীরা ব্যাংক থেকে কতটাকা পর্যন্ত ঋন পেতে পারেন বাংলাদেশ বাংক প্রকাশিত “কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন ণীতিমালা ২০১৯-২০” এই বিষয়ে একটি নিয়মাচার দেওয়া হয়েছে যা এই নীতিমালার পরিশীষ্ট-‘ঠ/১’ তে উল্লেখ  করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্ল্যেখ্য যে, করোনা ভাইরাসের মাহাদূর্যোগে ব্রয়লার খামারীরা যাতে মূল্ধন সংকটে না পড়েন সেই জন্য সরকার ৫,০০০ টাকার প্রণোদনা স্কিম ঘোষনা করেছেন।বাংলাদেশে ব্যাংক এই উদ্যেশ্যে একটি সার্কুলার জারি করেন।যাতে বলা হয়, এই প্রনোদনা স্কীমের নাম হবে “কৃষি খাতে বিশেষ প্রনোদনামুলক পুনঃঅর্থায়ন স্কিম” যা বাংলাদেশ ব্যাংক নিজস্ব উৎস হতে অর্থায়ন কয়া হবে।এই সার্কুলারের “সূচনা” পর্বের ১(চ) অংশে বলেছেন, বিদ্যমান ব্যাংকগুলো বিদ্যমান কৃষি ও পল্লী ঋন নীতিমালায় বর্নিত বিধিসমূহ অনুসরন পুর্বক ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রদান করা হবে।

ব্রয়লার মুরগি (মাংস উৎপাদনের জন্য) পালনের জন্য ঋণ সংক্রান্ত নিয়মাচার

১।  ১ (এক) দিন বয়সের ব্রয়লার বাচ্চা ক্রয় করে পালনের জন্য ঋণ প্রদান করা যাবে।

২। প্রতি ১০০০টি ব্রয়লার মুরগি পালনের (৩০ দিন র্পযন্ত) জন্য ব্যয়ঃ

 

খরচের বিবরণী টাকা
ঘর তৈরি বাবদ (এককালীন) ৫,০০,০০০/-
বাচ্চা ক্রয় বাবদ ৮০,০০০/-
খাদ্য ক্রয় বাবদ ১,৫০,০০০/-
খাদ্য পাত্র ও পানির পাত্র ক্রয় বাবদ ১৫,০০০/-
টিকা, ঔষধ ও ভিটামিন ক্রয় বাবদ ৩০,০০০/-
বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খরচ (প্রতি মাসে) ১৫,০০০/-
শ্রমিক বাবদ (প্রতি মাসে) ২৫,০০০/-
অন্যান্য খরচ ১০,০০০/-
মোট (আট লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা মাত্র)

 

৮,২৫,০০০/-

৩। ১০০০টি ব্রয়লার মুরগি পালনের জন্য অনধিক ৮,২৫,০০০/- (আট লক্ষ পঁচিশ হাজার) টাকা উক্ত স্কীমের অধীনে ঋণ প্রদান করা যেতে পারে।

৪। স্বল্প পরিসরে সর্বোচ্চ ১০০০টি ব্রয়লার মুরগির খামার (নতুন) তৈরিতে ঘর তৈরি বাবদ (এককালীন) প্রদত্ত ঋণ কৃষি ঋণ হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে, ১০০০ এর অধিক পরিমানে ব্রয়লার মুরগির খামার অর্থাৎ বৃহৎ পরিসরে বা বাণিজ্যিকভাবে ব্রয়লার মুরগি উৎপাদনে অবকাঠামোগত ব্যয়ে প্রদত্ত ঋণ কৃষি ঋণ হিসাবে বিবেচিত হবে না।

৫। সুবিধাভোগী ঋণ গ্রহিতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে নারী ও প্রান্তিক খামারীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।

৬। ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ঋণ গ্রহিতা অনধিক ২ মাস গ্রেস পিরিয়ড পাবেন।

৭। ঋণ গ্রহিতাকে ৩৬-৫৪ মাসের মধ্যে (গ্রেস পিরিয়ড সহ) ঋণ সমন্বয় করতে হবে।

৮। ব্যাংক শাখাসমূহ এ খাতে বিতরণকৃত ঋণের তথ্যাদি সংরক্ষণ করবে। প্রয়োজনবোধে বাংলাদেশ ব্যাংক বা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় এর চাহিদা মোতাবেক তা সরবরাহ করবে।

দেশ  বাংলাব্যাংক কৃষি ঋন শাখা থেকে প্রকাশিত কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন নীতিমালা ২০১৯-২০ হুবহু পেতে এখানে ক্লিক করুন

খামারীদের সুবিধার্থে এবং প্রচারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েব সাইট থেকে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।তাই এ সমস্ত বিষয়ে যেকোন সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গন্য হবে।এই পোষ্টের কোন তহত্য রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here