অধিক মাংস উৎপাদনের জন্য প্রসিদ্ধ “ব্রাহমা” জাতের গরুর প্রথম বংশধর এল রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার জিয়াউল হকের খামারে।সম্মানিত খামারী, আপনাকে অভিনন্দন। (ভিডিও দেখতে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন)
বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতি পূর্ন দেশ।দেশে এই বিপুল জনসংখ্যার তুলনায় উৎপাদন অনেক কম এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে এই চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।এমতাবস্থায় দেশে মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য “বীফ ক্যাটেল ডেভেলপমেণ্ট প্রোজেক্ট” হাতে নেওয়া হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় “বীফ ক্যাটেলে ডেভেলপমেণ্ট প্রকল্পের” আওতায় জিয়াউল হকের দেশি গরুটিকে ব্রাহামা জাতের বীজ দিয়ে কৃত্রিম প্রজনন করিয়েছিলে সহকর্মী এফ,এ (এ,আই) দীপল চাকমা।পরবর্তীতে চলে প্রাণিসম্পদ বিভাগের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ।
নির্দিষ্ট সময় পরেই জন্ম নেই ব্রাহমার প্রথম বাচ্চাটি যার মা “দেশী” জাতের।খামারীর আনন্দ আর ধরে না।খবর পাওয়া সাথে সাথেই সহকর্মী দীপল চাকমাকে নিয়ে ছুটে যায় খামারে।কারন এই আনন্দ যে আমাদেরও।
পরবর্তীতে খামারীকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হয়।ব্রাহমা জাতের গরুর বাচ্চাগুলো বৃদ্ধির হার দ্রুত হওয়ায় এদের পর্যাপ্ত খাবার দিতে হয় ।তাই প্রথম অবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমান দুধ খাওয়াতে হবে।এই বিষয়ে খামারীকে সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হয়।
খামারের মুল দেখা শোনার কাজটি করেন জিয়াউল হকের মা।উনার সাথে আলাপ করে জানা যায়,উনি খুবই আশাবাদী এবং খুশি ব্রাহমা বাচ্চা পেয়ে।পরবর্তীতে উনি এই জাতের গরু বিক্রি করে ভাল আয় করার স্বপন দেখেন।আমরা উনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্বার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বিদায় নিই।
আশা করা যায়, নিকট ভবিষ্যতে খামারী সফলতার মুখ দেখতে পাবে।আর দুঃখ গুছিয়ে উনার ঘরেও বইবে সুখের হাওয়া।জুড়াবে প্রাণ।